রাজবাড়ী প্রতিনিধি : ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পালালেও তার দোসরা খোলস পাল্টে বিএনপির শিবিরে নাম লিখিয়েছে। তবে খোলস পালটানোর ফলে এইসব অস্ত্রধারী দখল দাড়, চাঁদাবাজ প্রকাশ্যেই পূর্বের মতোই কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এমন খোলস পাল্টানো ব্যক্তি হলেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রীর আশীর্বাদ পুষ্ঠ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মুন্নু সিকদার।

মুন্নু সিকদার রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনাপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মৃত আজিজ সিকদারের ছেলে। এছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা হাসানুল হক ইনুর পিএস আশরাফুল ইসলাম ঝন্টুর ছোট ভাই।

মুন্নু সিকদারের বিরুদ্ধে সোনাপুর বাজারের দোকানপাট দখল, হামলা, বসতবাড়িতে লুটপাটসহ নানা অভিযোগ তুলেছে সৈয়দ রুবেল হোসেনের পরিবার। এরই মধ্যে পরিবারটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা হাসানুল হক ইনুর পিএস আশরাফুল ইসলাম ঝন্টু ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ২০১৩ সালের কোন এক সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানের সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে রুবেল হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত হয় রুবেল হোসেনসহ পরিবারের ৭ সদস্য। এসময় হামলা কারীরা বাড়িতে থাকা মূল্যবান সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। দখল করে নেয় বাজারের মূল্যবান সম্পদ দোকানপাট। তার পর থেকে ঝন্টুর ছোট ভাই মুন্নু সিকদার সাবেক রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: জিল্লুল হাকিমের দাপট দেখিয়ে বাড়ির বিভিন্ন পথ আটকে দেয়।এখনো হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে পরিবারটিকে নিঃস্ব করে ফেলেছে।

এসব বিষয় নিয়ে এই প্রতিবেদক যখন সংবাদ সংগ্রহে কাজ করতে থাকে তখনই সামনে আসে মুন্নু সিকদারের নতুন এক চরিত্র। যেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: জিল্লুল হাকিম মুন্নু সিকদারের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করছে।অন্যদিকে অন্য আর এক ছবিতে দেখা যায় এই মুন্নু সিকদারই নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দাবী করে ফেস্টুন চাপিয়েছে।

এসব বিষয় সৈয়দ রুবেল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝন্টু, মুন্নুর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। আমরা কোন রাজনীতি করি না তবে বিএনপি মাইন্ডের হওয়ায় ওরা ২০১৩ সাল থেকে আমাদের দোকানপাট দখল করে রেখেছে। সেসময় আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। আমি পরিবার নিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। বর্তমান সরকারের কাছে আমার চাওয়া এই জুলুমবাজের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করবে, সেইসাথে আমার দোকানপাট ফিরিয়ে দেবে।

মুন্নু সিকদারের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

(একে/এসপি/নভেম্বর ২২, ২০২৪)