স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের ১৪ নম্বর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হওয়ার অপেক্ষায় মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ শুক্রবার রাতে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে যাত্রা শুরু হচ্ছে মিরাজের।

নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইনজুরির শিকার হয়ে মাঠের বাইরে। তার পরিবর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে অধিনায়ক করা হয়েছে মিরাজকে।

শুধু টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নতুন যাত্রা শুরুই নয়, এ ম্যাচটি মিরাজের জন্য অন্য আরেকটি কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটা যে তার ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫০ বা তার বেশী টেস্ট খেলা ৮ নম্বর ক্রিকেটার হলেন মিরাজ।

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম, আর ক্যারিয়ারের ৫০ নম্বর টেস্ট-এমন এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চিত মিরাজ। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘৫০টা টেস্ট খেলবো এটা দেশের জন্য, আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। আমি মনে করি দেশের জন্য ৫০টা টেস্ট খেলা অনেক বড় অর্জন। আশা করি এটা আমার জন্য বড় অর্জন হয়েই থাকবে। যেন স্মরণীয় করে রাখতে পারি।’

মিরাজ নেতৃত্ব পেয়েছেন এমন এক অবস্থায়, যখন টেস্টে বাংলাদেশ আছে ঘোর বিপাকে। পাকিস্তানের সাথে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয়ের পর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২ টেস্টের সিরিজে চরম নাকাল ও পর্যুদস্ত হয়েছে টাইগাররা।

সেটাই শেষ কথা নয়। এই অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ারর রেকর্ডও আছে। তার মানে এটা শুধু পরপর ২ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসার মিশনই নয়, অ্যান্টিগায় পূর্ব ব্যর্থতা ঘোচানোরও টেস্ট। এ মিশনে কী করবে বাংলাদেশ? অধিনায়ক মিরাজের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা কী?

টেস্ট শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে অ্যান্টিগায় প্রেস কনফারেন্সে মিরাজের কণ্ঠে আশার বাণী। অধিনায়ক হতে পেরে খুশি মিরাজের প্রথম কথা, ‘আলহামদুলিল্লাহ।’

লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের টার্গেট থাকবে অবশ্যই ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য। কারণ এর আগে আমরা যখন এখানে খেলেছিলাম, টেস্ট ক্রিকেটে অতটা ভালো করতে পারিনি। বিশেষ করে একটা জিততে পারিনি শেষ চার বছরে। যদি আমরা দেখি এখানে স্ট্যাট, এখানে দুটো ম্যাচ খেলেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য থাকবে জেতার জন্য এবং সবাই যেন পারফর্ম করে।’

এই মাঠে ৬ বছর আগে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মিরাজ বলেন, ‘আমরা অ্যান্টিগায় ভালো টেস্ট খেলিনি। আমরা খুব বাজেভাবে হেরেছি। এবার আমরা নতুনভাবে এসেছি। দশদিনের মতো অনুশীলন করেছি, একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি।খেলোয়াড়রাও খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী আমার দল অনেক ভালো করবে। সবাই যেন ভালো ক্রিকেট খেলে আমরা জিততে পারি। সবাই যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, আশা করি এই টেস্টে ভালো একটা ফল আসবে।’

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২২, ২০২৪)