২২ নভেম্বর, ১৯৭১
মুক্তিবাহিনী নোয়াখালীতে পাক অবস্থানের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ করে
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : পাকবাহিনী ২১ তারিখের চৌগাছা যুদ্ধে সুবিধা করতে না পেরে গরীবপুর এবং জগন্নাথপুরে প্রতিরক্ষা ব্যুহ তৈরি করেছিল। যৌথবাহিনী পাক প্রতিরক্ষার ওপর প্রচন্ড আক্রমণ করে। পাকবাহিনী এই যুদ্ধে বিমান বাহিনীর সাহায্য নিয়েছিল। মিত্রবাহিনীও বিমান ব্যবহার করে। যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩ খানা স্যাবার জেট ধ্বংস হয়। এছাড়াও পাকবাহিনী এই যুদ্ধে ১৩টি ট্যাঙ্ক এবং বেশ কিছু সৈন্য হারাতে বাধ্য হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লিতে বলেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভারতের সাথে সৎ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার যে আহবান জানিয়েছেন তা যদি আন্তরিকতার সাথে করে থাকেন, তা হলে ভারত একে স্বাগত জানাবে। তিনি আরো বলেন,প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া যদি এ ব্যাপারে হন, তবে তাঁর উচিত বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেয়া।
যুদ্ধ পরিস্থিতি রিপোর্ট
বানপুর সাব সেক্টর
GB ptl fire on en pons Krishanapur Ghat 6400 M/S 79/A14
on 171130 Nov. En cas 5 dead. Own cas nil. Ptl fire on en ptl
at Dhamghar 5766 M/S 79A/10 on 191500 Nov. En cas 1
Pak army and 2 Razakars dead.Own cas nil.
কসবা থেকে ৩ মাইল উত্তরে চন্দ্রপুর পাক ঘাঁটিতে যৌথ বাহিনী আক্রমণ পরিচালনা করে। এই যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর ক্ষতি হয় বেশি। ভারতীয় বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডরি শিখ মেজর এবং তিনজন জুনিয়ার কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারসহ সর্বমোট ৪৫ জন সেনা যুদ্ধে শহীদ হন এবং মুক্তিবাহিনী শহীদ হন ২২ জন। আহত হন ৩৪ জন সৈন্য। মুক্তিবাহিনীর লে. খন্দকার আবদুল আজিজ এই যুদ্ধে শহীদ হন।
মুক্তিবাহিনী নোয়াখালীর দুর্গাপুর এলাকায় পাক অবস্থানের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ করে ৭ জন পাক হানাদারকে হত্যা করে এবং ১০ জনকে আহত করে।
পাক বাহিনীর একটি জিপ যশোর থেকে সাতক্ষীরায় আসার সময় মুক্তিবাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হয়। এই আক্রমণে ১ জন পাক ক্যাপ্টেনসহ ৩ জন শত্রু সৈন্য নিহত হয়। জিপটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/নভেম্বর ২২, ২০২৪)