রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিলাখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মজিদ সরকারকে স্বপদে বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তাকে দল থেকে মৌখিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন ওই সভাপতি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত ৯টায় নিলাখিয়া চৌরাস্তা মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপি ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতা কর্মীরা ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ১৯ নভেম্বর রাতে তাকে দল থেকে অব্যাহতির কথা মোবাইল কলে জানানো হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পত্র ইস্যু করা হয়নি!

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অব্যাহতি প্রাপ্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মজিদ সরকার, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মামুন, ১ নম্বর বিএনপির সভাপতি কুরবান আলী জিন্নাহ, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মেঘনাল মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র না মেনে নিলাখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মজিদ সরকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যারা দলের দুঃসময়ে মাঠে ছিলেন তাদেরকে বিনা কারণে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। তাই তারা আবদুল মজিদ সরকারকে সভাপতি পদে পুনরায় বহালের দাবি জানান।

বিএনপি নেতা আবদুল মজিদ সরকার বলেন, বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিক সওদাগর মোবাইল ফোনে জানান যে, 'আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমি এখনো কোন পত্র পাইনি! এখন সভাপতি পদে মমতাজ উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতির বিষয়ে আমার অসুস্থতাকে দায়ী করেছেন তিনি। অথচ আমি দিব্যি সুস্থ একজন মানুষ। এটা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আমার ওপর অন্যায় করা হয়েছে। সভাপতি পদে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি ইউনিয়ন বিএনপির কেউ নন।'

এ বিষয়ে জানতে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর বলেন, 'আবদুল মজিদ সরকার নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড জড়িত। এছাড়া দলের সার্বিক কর্মকাণ্ডে তাঁর কোন সম্পৃক্ততা নেই। সাংগঠনিকভাবেও তার গ্রহণযোগ্যতা নেই। সব মিলিয়ে তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ডেকে এনে অব্যাহতি পত্র দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেন নি!'

(আরআর/এসপি/নভেম্বর ২১, ২০২৪)