আবু নাসের হুসাইন, সালথা : ফরিদপুরের সালথায় পাট, পেঁয়াজ ও ধানসহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পান চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। এবছর উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া ও রাজনগর গ্রামে ৩০ বিঘা জমিতে পানের বরজ রয়েছে। পান চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে অনেকে। পান চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই নতুন করে পানের বরজ তৈরি করছেন। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ চাষিদের থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন নতুন চাষিরা। এছাড়া, জটিল বিষয়ে কৃষি অফিসেও যাচ্ছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাটখড়ি দিয়ে ঘেরা জমির মধ্যে সারি সারি পান গাছ। গাছে ঝুলছে সবুজ রংয়ের মিষ্টি পান। এখনও ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতের প্রভাব পড়েনি পানের বরজে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে পানের দাম কিছুটা বেড়েছে। ফলে গেলো বছরের চেয়ে এই বছরে পানের বাজারে দাম দ্বিগুন।

বল্লভদি ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের পান চাষি সজীব চক্রবর্তী, অসিত সাহা, পরিমল মন্ডল ও বিপুল কর বলেন, কয়েক বছর ধরে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পান চাষ করে আসছি আমরা। নিজেদের বরজে নিজেরাই সব কাজ করি। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পান পরিচর্যা করি। কয়েকটি বরজে ছেচি, ঝুট্টা ও হাইব্রিড সহ কয়েক জাতের পান আছে। এবছর কিছু কিছু বরজে পানের ফলন ভাল হয়েছে। আবার অনেকেরই অর্থের অভাবে ভালো করতে পারেননি। কয়েকজন চাষির বরজের পানে ডিম পোকা দেখা যাচ্ছে। তবে এবছর এখনও কুয়াশা ও শীত না থাকায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি পানের। তারা আরো বলেন, বরজে পান যদি ভালো হয় তাহলে দ্বিগুন লাভ হবে। তবে কৃষি অফিসের সহযোগি পেলে পান চাষিরা আরো এগিয়ে যাবে।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ জামিনুর সাঈদ বলেন, বল্লভদি ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া ও রাজনগর গ্রামের একাধিক চাষি পান চাষ করেছেন। আমরা নিয়মিত পানের বরজ পরিদর্শন করছি। সেই সাথে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি।

সালথা উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন সিকদার বলেন, সালথা উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নে এবছর ৩০বিঘা জমিতে পানের বরজ রয়েছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব পড়েনি পানের বরজে। এখনও পান খুব ভালো আছে। সার খৈল ও স্প্রেসহ পানের পরিচর্যায় নানা পরামর্শ দিয়ে আসছি কৃষকদের। ফলন ও দাম বেশি পেলে কৃষকরা দিন দিন পান চাষে আগ্রহী হবেন। সরকারীভাবে কোন প্রণোদনা আসলে তাদেরকে দেওয়া হবে।

(এএন/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০২৪)