গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : অবশেষে গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর মানিকহার ব্রিজের নিচ থেকে কচুরিপানার স্তুপ অপসারণ শুরু হয়েছে।

‘মধুমতি নদীর মানিকহার ব্রিজে কচুরিপানার স্তুপ ১৫ দিন ধরে গোপালগঞ্জের সাথে ৫ জেলার নৌ চলাচল বন্ধ।’ এ শিরোনামে রবিবার (১৭ নভেম্বর) একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

তারপর জেলা প্রশাসন,পানি উন্নয়নবোর্ড ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সোমবার সকাল থেকে মধুমতি নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ শুরু হয়। দ্রুত কচুরিপানা অপসারণ করে এ নৌরুটে নৌযান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল ।

ওই কর্মকর্তা বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার উরফি ইউনিয়নের মধুমতি নদীর মানিকহার সেতুর নিচে কচুরিপানার স্তুপ ৫শ’ মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে। কচুরিপানার ওপর দিয়ে ১৮ দিন ধরে নৌকা, ট্রলার, কার্গো সহ অন্যান্য নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এতে গোপালগঞ্জের সাথে খুলনা, ররিশাল, নড়াইল,বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার সাথে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

আমরা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লোকজন দিয়ে কচুরিপানা অপসারণ শুরু করেছি। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ট্রলার, ভেকু মেসিন সহ অন্যান্য মেসিনের সাহায্যে কচুরিপানা দ্রুত অপসারণ করা হবে। তারপর থেকেই জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

উরফি ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজী বলেন, জেলার প্রধান নদী মধুমতি নদী। এ নদী দিয়ে ৫ জেলায় প্রতিদিন অন্তত ২শ’ নৌকা, ট্রলার, কার্গো সহ বিভিন্ন ধরণের নৌযান চলাচল করে। ১৮ দিন আগে মানিকহার ব্রিজের নীচে পিলারের সাথে কচুরিপানার আটকে জমতে থাকে। আস্তে আস্তে কচুরিপানা স্তুপে পরিনত হয়। পুরো নদীর ৫০০ মিটার কচুরিপানার স্তুপ দখল করে নিয়েছে। কচুরিপানার স্তুপের উপর দিয়ে নৌযান চলাচল করতে পারছে না। ফলে এ রুটে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এতে পণ্য পরিবহন ও নৌচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ব্রীজের ক্ষতি হচ্ছে। জনস্বার্থে কচুরিপানার স্তুপ অপসারণ করে নৌ চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি দাবি জানিয়েছিলাম। বিষয়টি ভিডিও করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীনকে পাঠাই। তিনি বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সোমবার মধুমতি নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ শুরু হয়েছে। এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

(এমএস/এএস/নভেম্বর ১৮, ২০২৪)