রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে নৃশংসভাবে হত্যার সাহসী সাংবাদিক গৌতম দাসের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার এ উপলক্ষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব উদ্যোগে প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিক গৌতম দাসের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং প্রেসক্লাবের এডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহজাহান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক পান্না বালা, সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক আবরার নাদিম ইতু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দৈনিক সমকালের ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ও ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ‌হাসানুজ্জামান প্রমুখ। সভায় বক্তারা গৌতম দাসের জীবন, আদর্শ ও কর্ম তুলে ধরে আলোচনা কর বলেন। বক্তারা বলেন, গৌতম দাস শুধুমাত্র একজন সাহসী সাংবাদিক ছিলেন না তিনি ছিলেন সৎ ও স্বল্পভাষী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন। আর এজন্যই ২০০৫ সালের এই দিনে তাঁকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

সভায় গৌতম দাসের আত্মার শান্তি কামনা করা হয় এবং তার আদর্শকে অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া, সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যার ১৯তম বার্ষিকীতে ফরিদপুর ও গৌতমের জন্মস্থান ভাঙ্গা উপজেলার চন্ডিদাসদী গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চন্ডিদাসদী গ্রামে গৌতমের সমাধিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়া নিহত গৌতম দাসের ভাই-বোনদের উদ্যোগে ভাঙ্গার চন্ডিদাসদী গ্রামে পারিবারিকভাবে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরে দৈনিক সমকাল ব্যুরো অফিসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় সাংবাদিক গৌতম দাসকে। ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন গৌতম দাস হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নয়জন আসামির সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

(আরআর/এএস/নভেম্বর ১৭, ২০২৪)