সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : পুণ্যস্নানের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার আলোরকোলের তিন দিনের রাস উৎসব।

আজ শনিবার ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণিমার ভরা জোয়ারের নোনাজলে পাপ মোচন আর মনোবাসনা পুরণের আশায় স্নান করেন সনাতম ধর্মাবলম্বীরা। স্নান শেষ করে যে যার গন্তব্যে রওনা করেন পুণ্যার্থীরা।

এবছর প্রায় অর্ধলাখ পুণ্যার্থী এবং দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে আলোরকোলের রাস উৎসবে। ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয় এই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। তবে এবছর বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজদারির কারণে শিকারি চক্রের অপতৎপরতা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

সুন্দরবন রাস উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি ও দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, পূর্ণিমার ভরা জোয়ারে স্নান করেন পুণ্যার্থীরা। এর পর তারা ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ট্রলারযোগে বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছেন। এর আগে শুক্রবার সারারাত পুণ্যার্থীরা আলোরকোলের অস্থায়ী মন্দিরে রাধা কৃষ্ণের লীলা কীর্তনসহ পুজা আর্চনা পালন করেন।

সুন্দরবনের আলোরকোল শুঁটকি পল্লীর বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসবের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এবছর প্রায় অর্ধলাখ পুণ্যর্থী ও দর্শনার্থী উপস্থিত হয় উৎসবে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবনের দুবলা বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মো. খলিলুর রহমান জানান, রাস উৎসবে আগত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উৎসবমূখর পরিবেশে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেছেন। তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় বনরক্ষীরা সার্বক্ষণিক কাজ করেছেন। যে কারণে হরিণ ও বন্যপ্রাণি শিকারিরা তাদের অপতৎপরতা চালাতে পারেনি। এবছর রাস উৎসবে পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ কাজী নুরুল করীম উপস্থিত ছিলেন।

(এসএস/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০২৪)