যশোর প্রতিনিধি : যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নতুন আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনু বিভাগের উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো: মাহরুফ হোসাইনের স্বাক্ষরিত এক পত্রে যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো এ নিয়োগ আদেশ জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে নতুন করে আইনজীবীদের পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নতুন নিয়োগ কার্যকর হবে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ আব্দুল মোহায়মেন, এবং পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ এ এইচ সাবেরুল হক সাবু।

এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল ১ এর পিপি পদে নিয়োগ পেয়েছেন আব্দুল লতিফ লতা, এবং সহকারী পিপি হয়েছেন ডেজিনা ইয়াসমিন। একইভাবে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল ২ এর পিপি হয়েছেন একেএম হাসানুর রহমান আসাদ এবং সহকারী পিপি হয়েছেন শাহানারা সুলতানা রিনা। বিশেষ জজ আদালতের পিপি পদে নিয়োগ পেয়েছেন আমিনুর রহমান ও সহকারী পিপি হয়েছেন আনিছুর রহমান পলাশ।

অতিরিক্ত পিপি ও সহকারী পিপিদেরও নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ১১ জন অতিরিক্ত পিপি এবং ৪৬ জন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ পেয়েছেন। এই নিয়োগে উল্লেখযোগ্য হলেন, অতিরিক্ত পিপি হিসেবে ১১ জনের মধ্যে আজিজুল ইসলাম, সৈয়দ রুহুল কুদ্দুস কচি, আবু মুরাদ, আরিফুল ইসলাম শান্তি এবং মুজিবুর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া সহকারী পিপি হিসেবে ৪৬ জনের মধ্যে মুনছুর আলী, সহিদুল ইসলাম, দিলীপ কুমার চন্দ্র, নার্গিস নাহার, সাদেকা খাতুন বিল্লু এবং অন্যান্যদের নাম উল্লেখযোগ্য।

পূর্বের সকল নিয়োগ বাতিল হওয়ার পর এই নতুন নিয়োগকৃত আইন কর্মকর্তাদের নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে আইন মন্ত্রণালয় সানা মো: মাহরুফ হোসাইন সাক্ষরিত এক পত্রে যশোর জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে এম ইদ্রিস আলীকে দ্বিতীয়বারের জন্য নিয়োগ দিয়েছিল, কিন্তু সাত মাসের মাথায় সেই নিয়োগ বাতিল করে এই নতুন নিয়োগের আদেশ দেয়া হয়েছে।

নতুন নিয়োগের ফলে যশোর জেলা আদালতের কার্যক্রমে আইন প্রয়োগে নতুন উদ্দীপনা এবং সুশাসনের আশাবাদ প্রকাশ করেছে স্থানীয় আইন পেশাজীবী মহল।

(এসএমএ/এএস/নভেম্বর ১৫, ২০২৪)