সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন দিলদার বলেছেন, অবহেলিত কৃষকের সাফল্য অর্জনে কেন্দুয়ার কৃষিকে বাণিজ্য কৃষিতে পরিনত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সমাজের সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা।

তিনি বলেন কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলের কৃষককে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে হবে। যে মাটিতে যে ধরণের ফসল উৎপাদন সম্ভব, তা পরিক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে জমিতে সেই ফসলের চাষ করতে হবে। কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন দিলদার ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর কার্যালয়ে এই প্রতিনিধির সাথে দেয়া এক সৌজন্য সাক্ষাতে খোলামেলা আলোচনা করতে গিয়ে একথা বলেন তিনি।

মোঃ হুমায়ুন দিলদার আরো বলেন দশে মিলে কাজ করলেই কেন্দুয়ার কৃষক এবং কৃষির উন্নতি হবে। আমরা যারা ওই বিভাগে কর্মরত আছি আমাদের সকলের লক্ষ উদ্দেশ্য একটাই কৃষি এবং কৃষকের সাফল্য অর্জন করা। কৃষিকে যতক্ষণ পর্যন্ত বাণিজ্যিক কৃষিতে পরিণত করা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত কৃষি এবং কৃষকের সাফল্য অর্জিত হবে না। তিনি সকল কৃষকদের উদ্দেশ্যে দাবি করে বলেন এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না।

গত ৩ নভেম্বর কেন্দুয়া উপজেলার কৃষি অফিসার হিসেবে কর্মে যোগদান করেন ৩৪ তম বিসিএস এর ওই কর্মকর্তা। এর আগে তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি অফিসার হিসেবে দায়িত্বা পালন করেন। ২০০২ সালে ময়মনসিংহের বিদ্যাগঞ্জ রানী রাজবালা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস এস সি পাশ করার পর ২০০৪ সালে মুক্তাগাছা মহা বিদ্যালয় থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। এর পর হাজ্বী ধানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫-২০০৬ শিক্ষা বর্ষে অনার্সে অধ্যয়ন করে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে অনার্স সম্পন্ন করেনা। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এম এস ইন সয়েল সাইন্স সম্পন্ন করেন।

২০১৩ সালে পুলিশের এস আই পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ২০১৫ সালে লেবার ইন্সপেক্টর এবং ২০১৬ সালে ৩৪ বিসিএস এ উর্ত্তীন হন। তার পিতা মরহুম দলিল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মা হালিমা খাতুন একজন গৃহিনী। ২০১৬ সালে জুন মাসে তিনি কৃষিবিদ ফাতেমাতু আনজিম কাবেরীর সাথে বিবাহ্ বন্ধেনে আবদ্ধ হন। ৩ সন্তানের জনক মোঃ হুমায়ুন দিলদার চর বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ৫ম।

তিনি বলেন আমি কৃষকের সাথে মাঠে থেকে কাজ করতে আনন্দ পাই বেশি। খুব শীঘ্রই কেন্দুয়ার কৃষিকে বানিজ্য কৃষিতে পরিনত করার পরিকল্পনা আছে। তবে এজন্য প্রয়োজন সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা।

(এসবিএস/এএস/নভেম্বর ১৪, ২০২৪)