শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সুজন চৌধুরী (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তার স্ত্রী শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী দুল্লী রানী (২২) কে আটক করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার কুলানন্দপুর গ্রামে নিজ শয়ন কক্ষ থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত সুজন চৌধুরী কুলানন্দপুর গ্রামের হংসলাল চৌধুরীর ছেলে। অভিযুক্ত দুল্লী রানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শ্রী সিদ্ধুর মেয়ের।

ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ঘটনা নিশ্চিত করে জানান,
ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ আমরা উদ্ধার করেছি। পরিবারের অভিযোগ থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাত ৪টার দিকে সুজনের বাবা বাথরুমে যাবে বলে ঘরের বাহিরে বের হন। এ সময় তিনি দেখতে পান বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে অন্ধকারে তার পুত্রবধূ দুল্লী রানী দাঁড়িয়ে আছে। শ্বশুরকে দেখে তিনি নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। পরে শ্বশুরের সন্দেহ হলে তিনি ঘরে গিয়ে দেখতে পান তার ছেলে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। ছেলের নাম ধরে ডাকলেও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তিনি চিৎকার করেন। পরে আশপাশের লোকজন তার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে এবং দুল্লা রানীকে আটক করে। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। নিহতের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ.ন.ম নিয়ামত উল্লাহ।

নিহত সুজনের বাবা হংস লাল জানান, ‘আমার ছোলেকে মেরে ফেলাছে। হামি ঘরের যায়া দেখি হামার সোনা খাটের ওপর পরে আছে। হামার ব্যাটার বউ ওড়না দিয়া পেঁচা হামার ব্যাটাক মারি ফেলিছে।’

(এসএস/এসপি/নভেম্বর ১৪, ২০২৪)