কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভাতিজার বাড়ি ভাঙচুর ও জীবননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভাতিজা খন্দকার  আব্দুল্লাহ ওরফে তুষার বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কামারহাটি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাফায়াত খন্দকার সাফুর ছেলে মো. আব্দুল্লাহ ওরফে তুষারের সাথে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের জমিজমা নিয়ে পূর্ব থেকে শত্রুতা লেগে এসেছে। এ সূত্রের জের ধরে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা গত (১২.১১.২৪) রাত ৮ টায় খন্দকার আব্দুল্লাহর বাড়িতে হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরা ও ঘরের ভেতরের আসবাব পত্র ভাঙচুর করে। এসময় হামলাকারীরা ৫০ হাজার টাকা ও ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে যায়। হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটায় সজ্জিত ছিল বলে জানান। বাড়িতে হামলা চালালে খন্দকার আব্দুল্লাহ ও তার মা ঘর থেকে বেড়িয়ে নিরাপত্তা স্থানে চলে যায়।

আব্দুল্লাহর মা আফরোজা বেগম জানান, "আমাদের সাথে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তার জেরধরে আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি ও আমাদের বাড়িতে রাতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আমরা এর বিচার চাই। খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বিএনপির বড় নেতা । সে কাউকে মানুষ মনে করছে না। আমার ও আমার ছেলের জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।"

খান্দকার আব্দুল্লাহ বলেন, "আমার বাবার সাথে আমার চাচা খন্দকার নাসিরুল ইসলামের জমিজমা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। আমাদের উপর সে অত্যাচার ও নানা ধরণের হুমকি দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি কিছুদিন আগে আমার চাচা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির ফোনে আমাকে মারার ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। সে ফোনালাপ নেট জগতে ভাইরাল হওয়ায় আমাদের উপর ১২ নভেম্বর রাতে তাঁর লোকজন দিয়ে হামলা চালায়। আমি এর সঠিক বিচার চাই। সেই সাথে প্রশাসনের কাছে আমাদের জানমালের নিরাপত্তার চাই।"

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, আব্দুল্লাহ ওরফে তুষার আমার ভাতিজা। সে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাদী করায় আমি তাকে শাসিয়েছি। তবে তার বাড়ি ঘর কে বা কারা ভেঙ্গেছে আমি জানিনা। তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহবান জানান।

বোয়ালমারী থানার ওসি মো. গোলাম রসূল বলেন, খন্দকার আব্দুল্লাহ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(কেএফ/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০২৪)