নিখোঁজের তিনদিন পর লাশ হয়ে ঘরে ফিরলো ফরিদপুরের কিশোর আবরাব
রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে নিখোঁজের তিনদিন পর কিশোর আবরাবের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরতলীর গেরদা ইউনিয়নের সাহেব বাড়ির পুকুর থেকে ওই নিহত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার কোতয়ালি থানা-পুলিশ।
আবরাব ফরিদপুর শহরের চর কমলাপুর ডাবলব্রিজ এলাকার মো. কামরুল হাসানের ছেলে। নিহত ওই কিশোর কিঞ্চিৎ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় রাজমিস্ত্রি মো. সোহেল আনুমানিক বেলা সোয়া দুইটার দিকে সাহেব বাড়ি পুকুরে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে কোতয়ালি থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ওই পুকুর থেকে কিশোর আবরাবের মরদেহ উদ্ধার করে।
আবরাবের চাচা মার্শাল টিটু বলেন, ‘১০ নভেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে কিছু না বলে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। বিকেলে পুলিশ পরিবারকে খবর দিলে আমরা গিয়ে আবরাবের মরদেহ সনাক্ত করি। নিখোঁজের দিন রাতেই (১০ নভেম্বর) কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিলো।’
টিটু আরও বলেন, 'নিখোঁজের দিন রাতে ফরিদপুর শহরতলীর জোয়ারের মোড় এলাকায় স্থানীয়রা তাকে এলোমেলো ঘোরাফেরা করতে দেখে আটকে রেখেছিলো। কিন্তু সকালে আবার ছেড়ে দেয় বলে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া ১১ নভেম্বর বিকেলে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে আবরাব এক্সিডেন্ট করে মানিকগঞ্জ হাসপাতালে আছে বলে পুলিশ পরিচয়ে ৭ হাজার টাকা চাইলে তাৎক্ষণিক নগদ নাম্বারে ওই টাকা পাঠিয়ে দেয় পরিবার। পরে সেই নাম্বারটি আর খোলা পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছিল। দুপুরে খবর পেয়ে গেরদার সাহেব বাড়ি পুকুর থেকে আবরাবের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে আমরা পরিবারের সাথে কথা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, এটি হত্যা নাকি আত্নহত্যা তা জানা সম্ভব হয়নি। এদিকে একমাত্র ছেলে আবরাবকে হারিয়ে মো. কামরুল হাসানের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
(আরআর/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০২৪)