আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব এখনো বিপর্যয়কর জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন এবং বাস্তুতন্ত্রের পতনের ঝুঁকিকে অবমূল্যায়ন করছে। জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কনফারেন্স অব পার্টিজ বা কপ-২৯ সম্মেলনের আগে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব স্বীকার করেছেন যে, আগামী বছরগুলোতে বৈশ্বিক উত্তাপ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।

গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষ সম্ভাব্য অপরিবর্তনীয় টিপিং পয়েন্টগুলোর কাছে পৌঁছেছে, যেমন আমাজন রেইনফরেস্ট এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তরের ক্ষয়। অথচ উষ্ণতাকে নিরাপদ স্তরে সীমাবদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মহাসচিব জানিয়েছেন, নতুন ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে দ্বিতীয় মার্কিন প্রস্থান প্রক্রিয়াটিকে পঙ্গু করে দেবে, তবে চুক্তিটি টিকে থাকবে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে ২০১৭ সালে প্রত্যাহার করে নেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তিতে ফিরিয়ে আনেন। তবে এবারের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায়, আশঙ্কা করা হচ্ছে যে তিনি আবারও প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেবেন।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দাবানল, খরা এবং চরম আবহাওয়া ইতিমধ্যেই পৃথিবীর অনেক অঞ্চলকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নতুন গবেষণায় কার্বন শোসনের প্রাকৃতিক পদ্ধতির স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বন, গাছপালা এবং মাটি রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণতম বছরে ২০২৩ সালে প্রায় কোনো কার্বন শোষণ করেনি।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ০৮, ২০২৪)