শুধু ইলেক্টোরাল নয়, পপুলার ভোটেও জয়ী ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইলেক্টোরাল ভোটে বড় ব্যবধানে জিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এ খবর ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে বিশ্বের প্রতিটি কোণায়। এবার জানা গেল, শুধু ইলেক্টোরাল ভোটই নয়, পপুলার বা জনসাধারণের ভোটেও নিজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে তিনি। সিএনএন, ফক্স নিউজসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এ ব্যবধান অর্ধ কোটিরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ নামের একটি বিশেষ নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটের মাধ্যমে। আবার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট নির্ভর করে সাধারণ ভোটারদের ভোটের ফলাফলের ওপর। এই ভোটকেই বলা হয় পপুলার ভোট।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৫১৪টি ইলেক্টোরাল ভোট আছে, যেখানে ২৭৭টি ভোট এরই মধ্যে চলে গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝুলিতে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেছে তার হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনও। বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস আটকে গেছেন ২২৬ ভোটে। বাকি যে কয়টি ভোট বাকি আছে সেগুলোও ট্রাম্পের ঝুলিতেই যাচ্ছে, তা অনেকটাই নিশ্চিত।
সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, ইলেক্টোরাল ভোটের পাশাপাশি পপুলার ভোটেও কমলার চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ১০৬টি ভোট, আর কমলা পেয়েছেন ৬ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮টি ভোট। অর্থাৎ কমলার চেয়ে ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৭২৮ ভোট বেশি পেয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এই প্রথম এমন ঘটল। ২০১৬ সালের যে নির্বাচনে নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন তিনি, সেবার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে এগিয়ে থাকলেও পপুলার ভোটে বেশ পিছিয়ে ছিলেন। হিলারির সঙ্গে তার প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ছিল ৩০ লাখেরও বেশি।
(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৬, ২০২৪)