বিপুল কুমার দাস, রাজৈর : ভোগান্তির অপর নামে পরিনত হয়েছে টেকেরহাট-কদমবাড়ি সড়ক। সংস্কারের অভাবে সামান্য বৃষ্টিতেই ডোবায় রূপ নেয়  রাস্তার খানাখন্দগুলো। সড়কের পার্শ্বরাস্তা ভেঙে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে জনদুর্ভোগ।

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর হতে কদম বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার রাস্তাটি রাজৈর উপজেলার খালিয়াও কদমবাড়ি ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্যস্ততম রাস্তা। রাস্তাটির আশেপাশে রয়েছে ২টি কলেজ, ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়ো বড়ো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী মহা মানব গনেশ পাগলের আশ্রম। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, আশ্রম এর ভক্ত, ব্যবসায়ী ও হাটে-বাজারে যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে যাওয়া লক্ষ লক্ষ জনসাধারণ, চলাচল করে বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, ইজিবাইক, টম টমগাড়ি, ভ্যান গাড়ি মটর বাইক সহ বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার যানবাহন। তিন মাস পূর্বে ঝড় ও প্রবল বর্ষণে ফলে রাস্তার পাশের বড় বড় গাছ শিকড় সহ উপরে পড়ার কারনে পিস ঢালাই রাস্তা ভেঙ্গে পড়ে, রাস্তার কিছু কিছু অংশে গর্ত হয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচল ও যানবাহনের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। প্রতিনিয়ত হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ও আহত হচ্ছে যাত্রী-পথচারী।

স্থানীয় জনতা, পথচারী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের আহাজারি কবে হবে রাস্তা মেরামত, কত দিনে থামবে সড়ক দুর্ঘটনা।

পথচারী সহ সমস্ত ভূক্তভোগীদের সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করে, পথচারী ও যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে ব্যবস্থা করুন।

এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুল হক জানান, আমি এ বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট জানব এবং রাস্তাটির মেরামত করার দ্রুত ব্যবস্থা নিব।

(বিডি/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০২৪)