মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে  জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাই ও তার স্ত্রী সন্তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত  করার ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন ফয়েজ উল্যাহ (৪৫) সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চর জুবিলী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পশ্চিম চরজুবিলী গ্রামের মরহুম হাজী সিদ্দীক মিয়ার পুত্র, তার স্ত্রী ও মেয়ে জিনাত (১৬)।

৯৯৯ খবর পেয়ে আহতদের চরজব্বর থানা পুলিশ উদ্ধার করে প্রথমে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ফয়েজ ও তার মেয়ের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানাযায়।

৪ নভেম্বর (সোমবার) বেলা সাড়ে ১২ টায় পশ্চিম চরজুবিলী গ্রামের মরহুম সিদ্দিক উল্যাহ মিয়ার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ফয়েজ উল্যাহর শ্যালক মাহবুবুর রহমান বলেন, মরহুম সিদ্দিক উল্যার ৫ মেয়ে এবং দুই পুত্র ফয়েজ উল্যাহ এবং ছোট সাইফু্ল ইসলাম বাবার সম্পতি দুজনে ভাগ করে নেয় কিন্তু মায়ের সম্পত্তি সাইফুল ইসলাম মাকে ফুসলিয়ে কৌশলে তার নামে নিয়ে নেয় এবং ৫ বোনদেরকে সম্পত্তি সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন জোর পূর্বক দখল করে ভোগ করছেন।

দুই ভাইয়ের সম্পত্তি ভাগ করে দেয়ার পরেও সাইফুল দীর্ঘদিন বড় ভাই ফয়েজ উল্যাহর জায়গা জমি দখলের পায়তারা করে আসছে, একাধিকবার সালিশ বৈঠক করে সমাধানের পরেও সাইফুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বার বার ফয়েজ উল্যার জায়গা দখলের চেষ্টা করে করে এবং পিটিয়ে আহত করে। তারই সূত্র ধরে ৪ নভেম্বর সোসবার বেলা সাড়ে ১২ টায় সাইফুল ফয়েজের জায়গার ওপর ঘর নির্মাণ করে এতে ফয়েজ ও তার পরিবার বাঁধা দিলে স্খাণীয় বাহাদুর, কামালসহ একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ছোট ভাই সাইফুল তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বড় ভাই ফয়েজ ও তার পরিবারের ওপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ফয়েজ তার স্ত্রীর ও স্কুলে পড়ুয়া মেয়ে জিনাতের মাথা ফাটিয়ে দেয়।

৯৯৯ ফোন করলে চরজব্বর থানা পুলিশ ঘনাস্থলে উপস্থিত হন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রীরা পালিয়ে যায় এবং পুলিশ আহতদেরকে হাসপাতালে প্রেরণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান সকাল থেকে সাইফুল ফয়েজের জায়গায় ঘর নির্মানের প্রস্তুতি নেয় পরে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে ফয়েজ বাঁধা দেয় এর পর সাইফুলসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ফয়েজের ওপর হামলা করে। ঘটনার আগের দিন রবিবার চরজুবিলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাইফুলকে ফয়েজের জায়গায় ঘর না তুলতে নিষেধ করার পরেও আজকে সাইফুল জোর পূর্বক ঘর তোলে এবং ফয়েজ উল্যাহ বাঁধা দিলে সাইফুল হামলা করে।।

ঘটনার বিষয়ে জানতে সাইফুলকে একাধিকবার ফোন করা হয়ে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(আইইউএস/এএস/নভেম্বর ০৪, ২০২৪)