সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও ছাত্র আন্দোলনে হামলায় আহতের ঘটনার অভিযোগে সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মো. জিল্লুর রহমান এর একান্ত সচিব সাখাওয়াত উল্লাহ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল হেকিম রায়হানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪ সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। আজ রবিবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

আটককৃতরা হলেন, পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার মৃত শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে সাখাওয়াত উল্লাহ (৫২)। তিনি সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী ও সাবেক বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের উপদেষ্টা এবং ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। অপর জন ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল রহিম মিয়ার ছেলে আব্দুল হেকিম রায়হান (৫২)। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উপর হামলা ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে একই মামলায় এজাহারভূক্ত আরো ১৪ জন ও অজ্ঞাত ৪ জন নেতাকে আটক করা হয়েছে।

ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্প স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গত ১৯ জুলাই সাখাওয়াত উল্লাহ ও আব্দুল হেকিম রায়হানসহ অন্যান্য আসামিরা বেআইনি ভাবে জনতাবদ্ধে হয়ে রামদা, কিরিচ, বল্লম, লোহার রড, হকিস্টিক, পেট্রোল বোমা, ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উপর হামলা ও বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আহত মামুন মিয়া, বিএনপির নেতা রুবেল মিয়া ও আলম সরকার বাদী হয়ে ভৈরব থানায় ও আদালতে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে ডিএমপির ধানমন্ডি থানা এলাকা থেকে সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এর একান্ত সচিব আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত উল্লাহ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আব্দুল হেকিম রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্রসহ বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় সাখাওয়াত উল্লাহ ও আব্দুল হেকিম রায়হান জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। এজাহার নামীয় ও ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত ২ জনকে ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

(এসএস/এসপি/নভেম্বর ০৩, ২০২৪)