‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের বিকল্প নেই’
একে আজাদ, রাজবাড়ী : সমবায়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে একত্রে কাজ করা। একটি সমবায় আন্দোলনের কতটা শক্তিশালী হতে পারে তা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করে দিয়েছে। এই বিপ্লব সকল ধর্ম বর্ণের মানুষকে এক সুতোয় বেঁধে দিয়েছে। সমবায়কে কেন্দ্র করে বিশ্বের অনেক দেশে শতভাগ শিক্ষা বাস্তবায়ন এবং শতভাগ দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। বাংলাদেশেও সমবায় সমিতিগুলোর মাধ্যমে এই প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সমবায় কাঠামোকে সংস্কার করে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মাসুদুর রহমান রুবেল।
তিনি বলেন, একতাই সমবায় আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি,বিভাজন নয়। সমবায় জনগণকে মানসিকভাবে শক্তিশালী ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে সমবায়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের বিকল্প নেই। এটি সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে থাকে। দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে গ্রামীণ দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে ঋণ, প্রশিক্ষণ ও উপকরণসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে থাকে।
জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন,সমাবেশ,শোভাযাত্রা,আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শনিবার (২ নভেম্বর) রাজবাড়ীর পাংশায় ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ছালাউদ্দিন,প্রকল্প বাস্তবায়ন কমকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন সহ অন্যান্যরা।
(একে/এএস/নভেম্বর ০২, ২০২৪)