ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা বা কালী পূজা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামাপূজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

পঞ্জিকা অনুসারে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টে ৫২ মিনিটে অমাবস্যা শুরু হয়ে তিথির অবসান হয় শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৮ মিনিটে। পূজোর জন্য শুভ সময় বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১১টা ৪৮ মিনিট থেকে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন মন্দিরে পূজার সূচনা হয়। মা কালীর পূজো সারা রাত ধরে চলে।

ঈশ্বরদী পৌর শ্মশানের সভাপতি অধ্যাপক স্বপন কুমার কুন্ডু বলেন, হিন্দু পূরাণ মতে- কালী দেবী দূর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে- শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।

কালী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় বিভিন্ন মন্দিরে, বাড়িতে, দোকানে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।

ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ঠাকুরবাড়ি সত্য নারায়ণ বিগ্রহ মন্দির, কর্মকারপাড়া মাতৃ মন্দির, পৌর মার্কেটের শিব মন্দির, রেলগেট মাতৃ মন্দির, অরোণকোলা রজনীকান্ত কালী মন্দির, হরিজন কলোনী, রেঁনেসা কাবের হরে কৃষ্ণ মন্দিরসহ উপজেলা বিভিন্ন মন্দিরে ও মন্ডপে সাড়ম্বরে শ্যামা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

(এসকেকে/এসপি/নভেম্বর ০১, ২০২৪)