খাদ্য কর্মকর্তা বলেন অভিযোগ একটি ঠিক, আরেকটি বেঠিক
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির দুই ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ও গন্ডা ইউনিয়নের দুই ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৯নং নওপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট গনিতাশ্রম গ্রামের তোফায়েল খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার আমির হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত ২৯ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেন ডিলার আমির হোসেনের ব্যাংক ও ঘর ভাড়ার কাগজপত্রে অনিয়ম রয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সভাপতি ইমদাদুল হক তালুকদার ডিলার আমির হোসেনকে অভিযোগ তদন্তকালীন সময়ে তার নামে খাদ্য শস্য প্রদানের ডিও না দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে ঐ ডিলারের নামে খাদ্য গুদাম থেকে খাদ্য শস্য উত্তোলন করে বিতরণের জন্য ডিও প্রদান করা হয়। পরে তোফায়েল ৩০ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডিলারের নামে খাদ্য শস্য বিতরণের ডিও না দিতে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। একই সাথে অভিযোগটি খাদ্য কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠভাবে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাওসার আহম্মেদ জানান, কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে ডিলার আমির হোসেনের ব্যাংকের ও ঘর ভাড়ার কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেনি।
তিনি বলেন, অভিযোগকারী তোফায়েলকে মোবাইল ফোনে তদন্তকালে থাকার জন্য জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তাছাড়া উপজেলা খাদ্য কমিটি সদস্যরা ডিলার আমির হোসেনের নামে খাদ্য শস্য বরাদ্দ দিতে সুপারিশ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভায় অংশ নেওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ডিও দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ ক্রমে ডিলারকে ডিও দেওয়া হবে।
অভিযোগকারী তোফায়েল বলেন, লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় খাদ্য কর্মকর্তা তার সাথে র্দুব্যবহার করেছেন। তাছাড়া তাকে স্বাক্ষ্য প্রদানের জন্য কোন লিখিত ভাবে নোটিশ দেওয়া হয়নি। অপরদিকে গন্ডা ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির নিয়োজিত ডিলার লিটন মিয়ার অনিয়ম ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ করেন গন্ডা গ্রামের প্রতিদন্ধি ডিলার প্রার্থী রওশন মিয়া।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, অভিযোগটির তদন্ত চলছে। তবে লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাওসার আহম্মেদ বলেন প্রাথমিক যাচাইকালে ধরা পড়েছে ডিলার লিটন মিয়া ঘরের মালিকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তার অনিয়ম ও স্বাক্ষর জালিয়াতির কারণে খাদ্য কমিটির সভায় তার ডিলারশীপ বাতিল করা হবে। এদিকে অভিযুক্ত ডিলার লিটন মিয়ার সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
(এসবি/এসপি/অক্টোবর ৩১, ২০২৪)