স্টাফ রিপোর্টার : বিগত সরকারের সময়ে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মামলা বাতিলে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট তারেক ভূইয়া ও অ্যাডভোকেট এম সাব্বির আহমেদ।

এর আগে বুধবার বিগত সরকারের সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১১ মামলা বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট।

বুধবার জয়নুল আবেদীন জানান, শুনানি নিয়ে আদালত সবগুলো মামলায় রুল অ্যাসলিউট করেছেন। এর অর্থ হলো মামলাগুলো কোয়াশড (বাতিল) হয়ে গেল। এসব মামলা আর থাকল না। এখানে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ছিল। সরকারের অনুমতি না নিয়ে এ মামলা করা হয়েছে। আইন হলো, এক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয়। শুনানি শেষে আদালত এ মামলাও বাতিল করেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা এসব মামলা থেকে আজকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এ মামলাগুলো ২০১৬-১৭ থেকে রুল ও স্টে হয়ে ছিল। আজ রুল শুনানি হয়েছে। এসব মামলায় তিনি আগে জামিন পান। আজ মামলাগুলোর পরিসমাপ্তি ঘটেছে।

কায়সার কামাল বলেন, এসব মামলা ছিল বেআইনি। তা আজ প্রমাণিত হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অনুমতি নিতে হয়। সেটা নেওয়া হয়নি। আর নাশকতার মামলা যে ধারায় করা হয়েছে, সেখানে পাবলিক প্রপার্টি হতে হয়। এখানে সব প্রাইভেট প্রপার্টি। তা তারা জেনেও মামলা দিয়েছে। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আছে, ফিজিক্যালি উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু ম্যাডাম জিয়া (খালেদা জিয়া) তখন গুলশানে অবরুদ্ধ ছিলেন। তারপরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এসব মামলা দেওয়া হয়।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ৩১, ২০২৪)