সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের কচুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন মামা বিএনপি নেতা আব্দুর রবসহ তার লোকজনের হামলায় নিহত হয়ে ভাগ্নে পলাশ শেখ (৩৬)। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ফতেপুর বাজারে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ পলাশকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্ত বুধবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। নিহত পলাশ শেখ কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে। নিহতের স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।

অভিযুক্ত সাবেক সেনা সদস্য আব্দুর রব চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। সরকার পরিবর্তনের পরে আব্দুর রবের নেতৃত্বে তার বাহিনীঢর বিরুদ্ধে মারপিট, চাঁদাবাজি, বাড়িঘর লুট ও চিংড়ি ঘের দখলের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এই বাহিনীর সদস্যরা হত্যার চেষ্টা চালায় কচুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামকে (২৭)। রিয়াজুল এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহতের মা হেলেনা বেগম জানান, বাবার বাড়িতে পাওয়া এক একর জমি জাল দলিল করে নেয় আমার ভাই বিএনপি নেতা আব্দুর রব। এই জমি ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইদের সাথে আমাদের পরিবারের বিরোধ ছিল। কয়েককদিন আগে জমি ফেরত চাইলে রব আমার ছেলে পলাশকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গতকাল রাতে রব অন্য একজনকে দিয়ে মোবাইল ফোনে ফতেপুর বাজারে ডেকে নিয়ে পলাশকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মেরে হত্যা করেছে। আমার ছেরের হত্যাকারি রব, কবিরসহ জড়িত সবার ফাঁসি চাই।

পলাশের স্ত্রী রিমা বেগম বলেন, আমার তিনটা ছেলে-মেয়ে। আমার বাবা-মা নেই, শ্বশুর-শ্বাশুড়ীও বৃদ্ধ। একটু জমির জন্য আপন ভাগ্নেকে মেরে ফেলল রব-কবির, আমি এখন কোথায় যাব।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম জানা, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। নিহতের মরদেহের ময়না তদন্ত বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। হত্যাকারিদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।

(এসএস/এসপি/অক্টোবর ৩০, ২০২৪)