মিরান মাতুব্বর, ভাঙ্গা : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামের শিউলি আক্তারের (৩০)পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ৩ মাসেও আসামী গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। উল্টো আসামিপক্ষের হুমকি ও উপহাসে এলাকায় থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে, জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ২৬ জুন শিউলি আক্তার তার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যাকে বাসায় রেখে কর্মস্থলে চলে যায়। এই সুযোগে একই গ্রামের প্রতিবেশী লম্পট সুমন হাওলাদার (২২) ভুক্তভোগীর ঘরে ঢুকে ওড়না দিয়ে দু হাত বেঁধে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা কালে শিউলি আক্তার কর্মস্থল থেকে ফিরে আসেন এবং হাতেনাতে সুমনকে ধরে ফেলে। লম্পট সুমন হাওলাদার শিউলি আক্তার কে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এলাকার সালিশ বর্গবিচারের বারংবার আশ্বাস দিলেও ৪ মাস পার হলেও হয়নি কোন সুরহা।

ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার জানান,আমার মেয়ের যখন বয়স ১ মাস তখন আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়, পরে মেয়েকে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি। আমি বর্তমানে আলগী ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত রয়েছি। অনেক কষ্ট করে মেয়েকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি।এসব কথা বলার সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন শিউলি আক্তার। আমার মেয়েটি চন্ডীদাসদী ৮০ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। মামলার আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।প্রতিপক্ষের হুমকি আর প্রতিবেশীর উপহাসে এখন আমাদের গ্রামে থাকাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আমার মেয়ে যদি হতাশাগ্রস্ত হয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে এর দায় কে নিবে?আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি।

এই বিষয় ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. রাকিব হোসেন জানান, আমি এই মমলা নতুন তদন্ত হিসাবে নিয়োগ পেয়েছি। আগে জিনি এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তিনি বদলি হয়ে গেছেন। আমি তদন্ত করছি এবং আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

(এমএম/এসপি/অক্টোবর ৩০, ২০২৪)