৩০ অক্টোবর, ১৯৭১
'পূর্ব পাকিস্থানের অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম ইয়াহিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেন'
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ৫নং সেক্টরে তাহেরউদ্দিন আখঞ্জির নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী গৌরীনগরের পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে মাহবুবের নেতৃত্বে তাঁর বাহিনী ও সেকাটর কমান্ডার মীর শওকত ১২০ মিলিটারী মর্টারের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে।
মুক্তিবাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণের মুখে পাকসেনা ও রাজাকাররা অবস্থান পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্তিযোদ্ধারা গৌরীনগর পৌঁছালে সালুটিকর থেকে পাকিস্তাদের একটি সাহায্যকারী শক্তিশালী দল মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর প্রচন্ডভাবে পাল্টা আক্রমণ চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা গৌরীনগর ছেড়ে পিছু হটে। এই সংঘর্ষে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ১ জন আহত হন। অপরদিকে ১১ জন পাকসেনা হতাহত হয়।
৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দীন চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধা দল কুমারপুর সেতুতে পাকসেনাদের একটি কনভয়কে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকসেনাদের ২টি জীপ ধ্বংস হয় ও অনেক সৈন্য হতাহত হয়।
মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা আফসারের নেতৃত্বে কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়ীয়া এলাকায় পাকসেনাদের অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে ৭ জন পাকসেনা নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদের এক সভায় জুনিয়র কসিশন অফিসার ও অন্যান্য পদের যুদ্ধরত বাহিনীর সদস্যদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর লন্ডন সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের স্বীকৃতির দাবিতে ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক এক প্রচারপত্রে জনসভা এবং জনসভার পরে গণমিছিলের আহ্বান জানানো হয়। ঐ প্রচারপত্রে জনসভা স্থান ঘোষিত হয় হাউড পার্ক স্পীকার্স কর্নার। জনসভায় বক্তৃতা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী, বৃটিশ পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য এবং থেকে আগত আওয়ামী লীগের ৪ জন এম.এন.এ ও এম. পি.এ এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক কমিটির প্রতিনিধি-বৃন্দের নাম উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধি আবু সাইদ চৌধুরীকে নর্দাম্পটন এ্যাকশন কমিপির সম্পাদক এক চিঠিতে নর্দাম্পটন এলাকা সফর ও ঐ এলাকার একটি জনসভা করার জন্য আহ্বান জানান।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও পিপিপি চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো প্যারিস সফর করেন।
পূর্ব পাকিস্থানের অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট পূর্ব পাকিস্থানের অর্থনৈতিক অবস্থাসহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন। কোন মতেই অবস্থার অবনতি হতে দেয়া হবে না
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/অক্টোবর ৩০, ২০২৪)