প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
গোপালগঞ্জে ৫ বছর পর জমির দখল বুঝে পেয়ে সন্তুষ্ট ৯ ভূমিহীন পরিবার
তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : দীর্ঘ ৫ বছর পর জমির দখল বুঝে পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের ৯টি ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা। তারা জমির দখল বুঝে পেয়ে জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
ভূমিহীন সেলিনা বেগম বলেন, ২০১৯ সালে আমাদের ৯টি ভূমিহীন পরিবারকে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। পরে আমাদের নামে দলিল সম্পাদন করা হয়। ২০২৩ সালে জমি পরিমাপের পর সীমানা নির্ধারণ করে প্রত্যেকের নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর স্থানীয় ভূমি দস্যু ও প্রভাবশালীরা সীমানার খুঁটি ও সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। আমরা জমিতে যেতে চাইলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। জমির দখল বুঝে পাওয়ার দাবিতে গত ২৬ জুন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আমরা মানববন্ধন করি। দীর্ঘ ৫ বছর পর গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) জেলা প্রশাসন আমাদের জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছে। এ জন্য আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। তাই জেলা প্রশাসনকে আমরা আন্তুরিক ধন্যবাদ জানাই।স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অন্তত ভিটা-মাটি পেয়েছি।
জলিরপাড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মো. ইমারত হোসেন মিয়া বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শনিবার দুপুরে (২৬ অক্টোবর) আমি ও সার্ভেয়ার বাবুল হোসেন সরেজমিনে জমি পরিমাপ করে সেখানে সীমানা নির্ধারণ ও লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভূমিহীন ৯ পরিবারের সদস্যদের জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন সেখানে তারা ঘর তুলে বসবাস করতে পারবে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, এ সময় সিন্দিয়াঘাট পুলিশফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রকিব হোসেন, মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার অফিস ও জলিরপাড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জলিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান বিভা রানী মন্ডল বলেন, ৫ বছর পর ভূমিহীন পরিবরাগুলো তাদের জমি বুঝে পেয়েছে। জমি পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওই জমিতে বসবাসের জন্য তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
(টিবি/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২৪)