বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের দশ লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ফেরত প্রদানের জন্য আবেদন করেছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদ শেখ। তিনি ম্যানেজিং কমিটি (প্রাক্তন) সভাপতি ও বহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান (প্রাক্তন) মোঃ খলিলুর রহমান খানকে টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করেছেন।

বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদ শেখ আবেদনে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আপনি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময় শিক্ষক কর্মচারীদের পিএফএর ১০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা লোন বাবদ গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক স্বপন কুমার দাস এবং বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী অশোক কুমার মোদকের সহযোগীতায় মুনাফাসহ হিসাব করেছেন। বর্তমান আমার সাথে এই পিএফএর টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য আমার সাথে অত্যন্ত অসম্মানজনক আচরণ করে আসছেন এবং নানামুখী মামলা মোকদ্দমার হুমকি দিয়ে আসছেন। সে কারণ আমি মানষিকভাবে এবং শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ্য হয়ে পড়ছি। আপনাকে আমি বিনয়ের সাথে লোনের পিএফএর টাকা ফেরত প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি।

তিনি আরও বলেন, আপনি একজন সমাজ সেবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আপনার কর্মকান্ডে এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আপনি একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। সর্বদা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে থাকেন এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে থাকেন। আপনি সত্যবাদী, আপনি ন্যায় বিচারক আপনাকে পূন: পূন: বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের পিএফএর লোনকৃত টাকা অনতিবিলম্বে ফেরতের ব্যবস্থা করে আমার শারীরিক ও মানষিক অশান্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আপনাকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে মোঃ খলিলুর রহমান খান বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকার হিসাব করা হয়নি। হিসাব করে পেলে দিয়ে দিবো।

(একে/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০২৪)