একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে এখন প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত শয্যার দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,রাজবাড়ীতে শীতের আগেই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে জ্বর,সর্দি,কাশি,ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন জেলা সদরের আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছে।

পাংশা থেকে ছেলের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দীপা খাতুন নামে এক নারী। তিনি বলেন, 'শিশুর ঠান্ডা,জ্বর ও কাশি হয়েছে তাই হাসপাতালে এনেছি। অনেক শিশুই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় এভাবে গাদাগাদি করে মেঝেতে সেবা নিতে হচ্ছে।'

বারান্দায় বিছানা করে শ্বশুরকে রেখেছেন আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, 'সব সময় মানুষের ভিড়। বিছানা ঘেঁষে মানুষজন চলাফেরা করছেন। হাঁটার সময় চাদরের ওপর জুতা পরে উঠে যাচ্ছেন কেউ কেউ।'

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস এম এ হান্নান বলেন, ‘রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল বর্তমানে ১০০ শয্যার হাসপাতাল। ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কাজ শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি আমরা বুঝে পাব। ১০০ শয্যার হাসপাতালে গড়ে ২৬০ জন রোগী ভর্তি থাকে। গত ২৫ অক্টোবরে হাসপাতালে ২৪৯ জন রোগী ভর্তি ছিল। গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ভর্তি হয় এবং ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়ে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, ১০০ শয্যার হাসপাতালে ২০০/২৫০ জন রোগী চিকিৎসা দিতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। জনবল কম থাকার কারণে এবং রোগীদের লজিস্টিকস সাপোর্ট কম থাকার কারণে একটু সমস্যা হয়। ১০০ শয্যা হাসপাতাল হলেও আমাদের ১৫০ টি বেড রয়েছে। সব রোগীকে আমরা বেডে দিতে পারি না। অনেক রোগী এসে ফ্লোরে থাকে। তবে ফ্লোরে থাকলেও তাদের যত্নের কোনো কমতি নেই। ফ্লোর নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। বেডের ফোম পরিবর্তন করা হয়। তারপরও আমাদের দিক থেকে আমরা সর্বোচ্চ সেবাটা রোগীদের দিয়ে থাকি।’

(একে/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০২৪)