ওয়াজেদুর রহমান কনক


তুমি ছিলে বাংলার মাটির মতো অমলিন,
প্রাণের গভীরে জাগিয়েছিলে প্রেমের কাব্য।
তোমার কণ্ঠের প্রতিটি শব্দ যেন
জন্মেছিল মুক্তির গান হয়ে,
তুমি আমাদের স্বপ্নের নায়ক,
জীবন দিয়েছো, তবুও থামোনি এক মুহূর্তের জন্য।

তুমি ভালোবেসেছিলে এই মাটি,
তুমি ভালোবেসেছিলে এই মানুষ,
তোমার প্রতিটি হাসিতে ছিল প্রেমের গল্প,
অশ্রু ঝরেছে বাংলার মুক্তির জন্য,
তবু তুমি ছিলে আশার বাতিঘর,
প্রেমের এক মহাকাব্যের অনন্ত কবি।

তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল ভালোবাসার ধ্বনি,
যেন তুমি ছিলে বাংলার হৃদয়ের স্পন্দন।
তোমার বুকে ছিল দেশের প্রতি অনন্ত প্রেম,
তুমি দিয়েছো নিজেকে পুরো জাতির জন্য,
তুমি ছিলে এক সত্যিকার প্রেমিক—
প্রেমে আচ্ছন্ন, বাংলার জন্য আত্মত্যাগী।

তোমার স্মৃতি আজও বেঁচে আছে,
প্রেমময় সেই কাব্যের প্রতিটি পংক্তিতে,
তুমি বাংলার শেখ মুজিব,
এক চিরন্তন ভালোবাসার মহাকাব্য।
তোমার ছায়া যেন এখনও হেলে পড়ে
পদ্মার জলে, রূপসীর ঘাসে।
তুমি এসেছিলে সেদিন,
ঝরা পাতা মাড়িয়ে;
তোমার কণ্ঠে ছিল সমুদ্রের ডাক,
তোমার চোখে বাংলার বিষাদ—
কতকাল আগে, সেই মেঘভাঙা সন্ধ্যায়।

তুমি হেঁটেছিলে মাঠের ভেজা ধুলায়,
তোমার পায়ের নিচে পৃথিবী
আবৃত করেছিল শস্যের মতন,
তুমি ডাক দিয়েছিলে নতুন ভোরের—
তোমার কণ্ঠের প্রেমে
বাংলার মাটি ভিজেছিল বারবার।

তুমি চলে গেলে,
ম্লান আলোয় ডুবলো রাত্রির নক্ষত্র।
শুধু থেকে গেল তোমার পথচিহ্ন,
বাতাসে মিশে থাকা এক গোপন বেদনা—
হয়তো পদ্মার ঢেউ জানে,
হয়তো ধানক্ষেতের নীরবতা।

তবুও তুমি আছো,
এই বাংলার আকাশে,
নিভে যাওয়া আলোর দেশে,
যেখানে একদিন তুমি
মৃত্যুহীন কবিতার মতোই বেঁচে থাকবে—
শেখ মুজিব, তুমি বাংলার প্রেম।