রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এক শ্রমিক নেতাকে মারপিট করে ৬০ হাজার টাকা আদায় এর অভিযোগে সাতক্ষীরার দুই পত্রিকা সম্পাদক ও একজন সাংবাদিকসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরের জহুর আলী সরদারের ছেলে নারিকেলতলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজনরু সরদার বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার রাতে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরের মৃত কোমরউদ্দিনের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ, আশাশুনি উপজেলার কুল্ল্যা ইউনিয়নের মহাজনপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান , সদর উপজেলার তুজুলপুরের ইসহাক মোড়লের ছেলে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সমাজের আলো ডট কম এর সম্পাদক (গাছেরপাঠশালা) ইয়ারব হোসেন ও ঢাকার লালমাটিয়ার আমীর হোসেনের ছেলে খোরশেদ আলম।

মামলার বিবরনে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উচ্চ পর্যায়ের নেতা হওয়ায় আসামীরা বিভিন্ন সময়ে বাদির নিকট চাঁদা দাবি করিয়া আসছিলো। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদিকে ভিটাছাড়া করাসহ খুন ও জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলো আসামীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা আবু আহম্মেদ এর নেতৃত্বে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান, ইয়ারব হোসেন ও ঢাকার খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন একটি সাদা রং এর মাইক্রোবাসে করে বাদির বাড়িতে আসে। তারা বাদির কাছে পাঁচ লাখ টাকা চায়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদিকে মারপিট করে তার ঘরে ঢুকে আলমারি থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তারা বাকি চার লাখ ৪০ হাজার টাকা নিতে বাদিকে মাইক্রোবাসে তুলে দু’চোখ বেঁধে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরায়। পরে তাকে মেডিকেল কলেজ থেকে ছয়ঘরিয়া মোড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়। অনুকুল পরিস্থিতি না থাকায় তখন মামলা করা সম্ভব না হলেও পরিস্থিতি অনুকুলে আসায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ বলেন, মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা সকলেই ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট কলারোয়ার শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলার সাক্ষী। পরিকল্পিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ মামলার প্রধান সাক্ষী শহরের মধুমোল্লারডাঙির দলিল লেখক সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান (নিশান) বলেন, তিনি মামলা ও তাকে সাক্ষী করার বিষয়টি জানেন না বা তাকে কেউ জানায়নি। আপনার কাছে মামলা ও আমাকে সাক্ষী করার বিষয়টি শুনলাম।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেনকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

(আরকে/এএস/অক্টোবর ২৫, ২০২৪)