তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : শরতের মনোরম সকালে একঝাঁক তরুণের সাইকেল রেস উদ্বেলিত করেছে গোপালগঞ্জ বাসীকে। শুভ্রতা ছড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। এ রেসে অংশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সাইক্লিস্টরা। আয়োজকরা আগামীতে আরো বর্ণাঢ্য আযোজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

যুব সমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখতে এবং ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) এ সাইকেল রেস প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গোপালগঞ্জ সাইকিলিং কমিউনিটি। এতে স্পন্সার ছিল সাকিব এন্টারপ্রাইজ।

এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় গোপালগঞ্জ শহরের ৭মার্চ চত্বর থেকে সাইকেল রেস শুরু হয়। বর্ণিল সাইকেল গুলে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের বুঁকের উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল। সাইক্লিস্টদের সাইকেল চালানোর শৈল্পিক কৌশল দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। তাদের আকর্ষনীয় পোশার পরিচ্ছদ দ্যূতি ছড়িয়েছে। মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা দর্শক সাইক্লিস্টদের করতালি দিয়ে উৎসাহিত করেছেন। সাইকলে রেস ঘিরে পুরো সড়ক জুড়ে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া হয়ে মোট ১৬ কিলোমিটার মহাসড়ক অতিক্রম করে সাইকেল রেসটি ৭ মার্চ চত্বরে এসে সমাপ্ত হয়। দেশের ৬৪ জেলার ৭৫ জন সাইক্লিস্ট এ সাইকেল রেসে অংশ নেন।
রেসে চ্যাম্পিয়ান হন ঢাকার মোঃ আসিফ, ১ম রানার আপ হন আঃ গাফ্ফার এবং ২য় রানার আপ হন জিয়াদুল ইসলাম। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতার ফার্স্ট রানার আপ আঃ গাফফার বলেন, গোপালগঞ্জ সাইকিলিং কমিউনিটি এ রেসের আয়োজন করেছে। তাদের রেসের আয়োজন আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমি এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছি। নিজে আনন্দ পেয়েছি। দর্শকদের আনন্দ দিতে পেরেছি এটিই আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগছে।

প্রতিযোগিতার সেকেন্ড রানার আপ জিয়াদুল ইসলাম বলেন, আমি বিগত এক বছর ধরে সাইকেল রেসে অংশ নিচ্ছি। আজকের প্রতিযোগিতায় ৭৫ জন অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে আমি তৃতীয় হয়ে খুবই আনন্দিত। বর্ণিল এ আয়োজনের জন্য আমি গোপালগঞ্জ সাইকেলিং কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া এখানে দর্শকদের উৎসাহ পেয়েছি।

প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন মোঃ আসিফ বলেন, গোপালগঞ্জ গোপালগঞ্জ সাইকেলিং কমিটি সুন্দর একটি রেসের আয়োজন করেছেন। ঢাকা সহ দেশের সব জেলার রেসাররা এখানে অংশগ্রহণ করেছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। আয়োজকরা আমাদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি আগামীতেও তারা এ ধরনের আয়োজন করবে। আমি আবার এখানে আসব, এ রেসে অংশ নেব। আমি রেসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এটি আমার বড় পাওয়া।

দর্শক রোসান হোসেন মুক্ত বলেন, এ রেস আমাদের ভাল লেগেছে। আনন্দ দিয়েছে। আমরা উদ্বেলিত হয়েছি। আমরাও রেসারদের উৎসাহ দিয়েছি। এ শুভ্রতা ও আবেশ আমরা ধরে রাখব। সাইকিলিং শরীর সুস্থ্য রাখে। রেসে নেমে পুরস্কার পেলে মনে প্রশান্তি পাওয়া যায়। তাই আমি ও আমারা সহপাঠীরা দ্রুত সাইকিলিং শুরু করব।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান সাকিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাকিব হোসেন হৃদয় বলেন, সাইকেল রেস টা গোপালগঞ্জে এই প্রথম অনুষ্ঠিত হলো। আমরা যু ব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখাতে চাই। সেই সাথে গোপালগঞ্জের শিক্ষার্থীদের আমরা ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ কবর। সেই লক্ষ্যেই আমরা এ সাইকেল রেসের আয়োজন করেছি। এ সাইকেল রেসে ৬৪ জেলার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে। তাই অমরা সাইক্লিস্ট কমিউনিটিকে আরো গতিশীল করব। আগামীতে এ রেস বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ২৫, ২০২৪)