ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান বিশ্বাস টনি বলেছেন, বৈধভাবে অর্থ বিনিয়োগ করে টেন্ডারের মাধ্যমে ‘চ্যানেল চার্জ’ আদায়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। অথচ গত কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল এ মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

টনি বিশ্বাস মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বলেন, আমি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ১ জুলাই হতে ২০২৫ এর ৩০ জুন পর্যন্ত ৩৬৫ দিনের জন্য সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে সরকারি কোষাগারে ভ্যাটসহ ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা প্রদান করেছি। এজন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ‌‌‌গোয়ালন্দ হতে পাকশী নৌপথের ‘নৌযান চ্যানেল চার্জ আদায়' কার্যাদেশ গ্রহণ ও চুক্তিপত্র সম্পন্ন করি। যার বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে আছে। পরবর্তীতে আমি কার্যক্রম পরিচালনা করতে গেলে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হতে সাঁড়াঘাট পয়েন্টের মধ্যে কিছু সন্ত্রাসী বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জে সজ্জিত হয়ে আমার আদায়কারীদের ওপর অবৈধভাবে হামলা করে। তারা টাকা-পয়সা ছিনতাই ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় আমি গত ২৫ সেপ্টেম্বর লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার তিনজন আদায়কারী চ্যানেল চার্জ আদায়ের কাজ করেন। তারা হলেন সুমন, রিপন ও মামুন। এরা সকলেই নিরীহ ও সাধারণ মানুষ। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে আমি বৈধভাবে চ্যানেল চার্জ টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। প্রশাসনও আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। এখানে অস্ত্রবাজি, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কোন প্রশ্নই আসে না। কোন ধরনের গোলাগুলি বা হামলার সঙ্গে আমি বা আমার আদায়কারী কোনভাবে জড়িত নয়।

হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু দুষ্ট ষড়যন্ত্রকারী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জানিয়ে টনি বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় আমি বিব্রত। ভূয়া রশিদ নিয়ে কে বা কাহারা চ্যানেল চার্জ আদায় করে এবং নদীতে কাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। প্রশাসনের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

(এসকেকে/এসপি/অক্টোবর ২৫, ২০২৪)