আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই। মধ্য গাজায় একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন।

স্কুলটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এর মধ্যে ১১ মাস বয়সী এক শিশুও রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪২ জন।

হতাহতদের নেওয়া হয় আল-আওয়াদা হাসপাতালে। হাসপাতালটি বলছে, নিহতদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু ১৩ জন। তিন নারীও নিহতদের মধ্যে রয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, স্কুলের ভেতরে হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে। তবে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।

গত কয়েক মাসে ইসরায়েল গাজার বিভিন্ন স্কুলে একাধিক হামলা চালিয়েছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো আশ্রয় নিচ্ছিল। এসব হামলায় প্রায়ই নারী ও শিশুরা হতাহত হয়েছে।

চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার গাজায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হন। এদিন ইসরায়েল মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় বোমা হামলা চালায়।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে স্থল অভিযান এবং অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ অভিযানের লক্ষ্য হামাসের সামরিক শক্তি ধ্বংস করা এবং তাদের শাসন ক্ষমতা দুর্বল করা।

গাজার উত্তরাঞ্চলের ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকায় প্রায় চার লাখ মানুষ আটকে পড়েছেন, যাদের বেশিরভাগই জাবালিয়া, বেইত হানুন, ও বেইত লাহিয়া অঞ্চলে অবস্থান করছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৫, ২০২৪)