আবীর আহাদ


সফল গণঅভ্যুত্থানের পর সংবিধান না-মানা মুখ্যবিষয় নাও হতে পারে। তখন ডকট্রিন অব নেসেসিটির আওতায়  যেকোনো পবক্ষেপ গ্রহণ আইনসম্মত হতে বাধ্য। তবে শুরুতে সংবিধানানুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হলে, পরবর্তীতে সেই সংবিধানের মধ্যেই থাকতে হবে। কারণ সংবিধানের কিছু মানবো, কিছু মানবো না, তা আইনত: গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে রাষ্ট্রপতিকে সরানোর ক্ষমতা এখন আর কারো নেই। কারণ রাষ্ট্রপতি কেবলমাত্র জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ বিধায়, তাকে কেবল জাতীয় সংসদই দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যদের ভোটে তাঁকে অপসারণ করতে পারেন, অথবা যদি তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। পূর্বেই বলেছি, যে সংস্থা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পাবেন, সেটা হলো জাতীয় সংসদ, যা আগেই বিলুপ্ত করা হয়েছে।

অপরদিকে রাষ্ট্রপতি অপসারিত হলে বা পদত্যাগ করলে, যদি উপ-রাষ্ট্রপতি থাকেন, তবে তিনি তাঁর স্থলাভিসিক্ত হবেন। আর উপ-রাষ্ট্রপতি না থাকলে জাতীয় সংসদের স্পিকার/ডেপুটি স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে জাতীয় সঃসদ ও স্পিকার/ডেপুটি স্পিকার না থাকলে অন্য কারো পক্ষে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব অন্য কারো পক্ষে পালন করা সংবিধানসম্মত নয়, তাঁকে পদত্যাগ করানোও কোনোভাবেই সম্ভব নয়, যদি তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপতিকে বন্দুক বা অন্যোপায়ে পদত্যাগ করানোর প্রচেষ্টা হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল, যার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। এটা আমার একান্ত সাধারণ জ্ঞানের কথা।

লেখক : মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও গবেষক।