রিয়াজুল করিম, রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর যৌনকর্মী সুমি ওরফে মিতা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে আলামত উদ্ধারসহ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে রাজবাড়ীর পুরিশ।

এ প্রসঙ্গে আজ রাত ৮ টার দিকে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসবিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসবিফিংয়ে, রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিমা পারভীন জানান।

ভিকটিম (মৃত) সুমি ওরফে মিতা (২৫), গত পাঁচ মাস যাবত দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে তিনটি রুম ভাড়া নিয়ে যৌন ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গত ০৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক দেড়টার সময় ভিকটিম (মৃত) সুমি ওরফে মিতা প্রতিদিনের ন্যায় অজ্ঞাতনামা তিনজন পুরুষকে রাত্রিযাপনের জন্য মদের বোতলসহ তার রুমে নিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ সুমির হাত পা বাধা লাশ তার রুম থেকে উদ্ধার করে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগণ ০৭ অক্টোবরের পরে যে কোন সময় ভিকটিম (মৃত) সুমী ওরফে মিতাকে হাত পা বেধে গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

এই ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা রজু হয়। পরবর্তীতে তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করা হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষের নেতৃত্বে এসআই মোঃ সেলিম মোল্লা ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার আশুলিয়া বিশমাইল হতে ৩ জন আসামীকে আটক করেন। আটককৃতরা হলো; ১। আব্দুল কাদের (২৪), পিতা-আমদ সরদার, মাতা-রিনা বেগম , ঠিকানা: স্থায়ী: (সাং-পাইকশা মাঝাইল) , উপজেলা/থানা- নাগরপুর, জেলা -টাঙ্গাইল’কে ঢাকা মেট্রোর সূত্রাপুর থেকে, ২। রাসেল শেখ (২০), পিতা-মোঃ জয়নাল শেখ, মাতা-হেনা আক্তার , ঠিকানা: স্থায়ী: (সাং-নিচুনপুর) , থানা- নাগরপুর, জেলা- টাঙ্গাইল এবং ৩। মোঃ মুরাদ শেখ (২২), পিতা-মাজহারুল শেখ, মাতা-সাহিদা বেগম , ঠিকানা: স্থায়ী: (পাইকশা মাঝাইল), উপজেলা/থানা- নাগরপুর, জেলা- টাঙ্গাইল।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেয়া তথ্য মতে আসামী মুরাদের নিকট থেকে ভিকটিম মৃত সুমির ব্যবহৃত হাতের ব্রেসলেট ও ১টি টিকলি, আসামী কাদেরের নিকট হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত হাতের ব্রেসলেট এবং লুন্ঠিত ১৪,২০০ টাকার মধ্যে ১,৬৫৫ টাকা এবং আসামীদের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আজ ২২ অক্টোবর তারিখে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামীরা উক্ত ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(আরকে/এএস/অক্টোবর ২৩, ২০২৪)