সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মানব পাচারকারী চক্রের দুই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪ সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। আজ রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্প স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আটক মানব পাচারকারী পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকার মৃত মুসলিম মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৫৫)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ভৈরব থানায় হওয়া চাঞ্চল্যকর দুইটি মানব পাচার মামলার প্রধান আসামি জামাল মিয়া। মানব পাচার চক্রের অন্যান্য সদস্যরা জামাল মিয়ার নেতৃত্বে ভৈরবের বেকার ছেলেদের ইতালি পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন লোকের কাছ প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু ইতালি না পাঠিয়ে লিবিয়ার ত্রিপলিতে পাঠিয়ে ওই দেশে থাকা মানব পাচার চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেখানে তাদের বন্দি করে মুক্তিপণ হিসেবে পুনরায় টাকা নেয় চক্রটি। টাকা না দিতে পারলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় জিম্মিদের। এমন একটি ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. বাদল মিয়া ও মো. কাওছার মিয়া বাদী হয়ে ভৈরব থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্প স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. শহিদুল্লাহ জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে পালিয়ে বেড়ায় জামাল মিয়া। এমনকি মামলার অন্যান্য আসামিরাও পলাতক রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে জগন্নাথপুর এলাকা থেকে জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জামালসহ মানবপাচারকারীরা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এই চক্রের দ্বারা ভৈরবে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক পরিবারকে এই চক্রের সদস্যরা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মামলা করা থেকে বিরত রেখেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে জামালকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

(এসএস/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০২৪)