রাজবাড়ীতে মসজিদের মাইক টাঙানো নিয়ে বিরোধে হামলা, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা
একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মসজিদে মাইক টাঙানো নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলা, মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনাপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তৃতা করেন, আনন্দ বাজার মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলাম, জিয়েলগারী জামে মসজিদ ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি রইস উদ্দিন, রসুলপুর দাওরা হাদিস মাদ্রাসার সিনিয়র মোহাদেস হযরত মাওলানা ইয়াসিন সুলতান, ইসলামী আন্দোলন বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাজির উল্লাহ, রসুলপুর মাদ্রাসার দাওরা হাদিস মাওলানা মুফতি ফায়জুল্লাহ নেছারী, হাফেজ আঃ আখের, হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম, ইসলামিক শ্রমিক আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখা সভাপতি ও সোনাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা মুফতি সামছুদ্দিন হাববানি প্রমুখ।
মসজিদের ইমাম মুফতি আল আমিন ও স্থানীয় মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের রসুলপুর পূর্বপাড়া কাজীবাড়ী মসজিদটি অর্ধশত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত। গত ৬ আগস্ট এলাকার লোকজন ও মুসল্লিরা মিলে মসজিদে মাইক টাঙানো হয়। মসজিদে মাইক টাঙানোর কারণে মসজিদের ইমাম নুরুল কাইয়ুম খোকন পার্শ্ববর্তী বাড়ীতে তার লোকজন নিয়ে নামাজ আদায় করছেন। গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পর তার লোকজন নিয়ে মসজিদে হামলা করে। এতে সভাপতি আব্দুল করিম মন্ডল, আব্দুল আখের, ইমন শেখ সহ কয়েকজন মহিলা আহত হন। মসজিদের মাইক সেট সহ বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর করে। তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ কাজী আবুল হাসান ও আবুল কাসেমকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে আব্দুল করিম মন্ডল বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আমরা হামলাকারী সকল আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
হামলার অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান বলেন, মসজিদের ইমাম নুরুল কাইয়ুম খোকন প্রায় ৩০ বছর ধরে বিনা বেতনে ইমামতি করে আসছেন। বর্তমান সভাপতি করিম তার চাচাতো ভাই ডা. জাকিরের বাড়ী থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়। মসজিদের ইমাম নুরুল কাইয়ুম খোকন জমি দিয়ে পথ দেয়। এরপর থেকেই তাকে তাড়াতে নানা ষড়যন্ত্র করেন। পরে মসজিদে মাইক টাঙানো নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে তারা একটি বাড়ীতে নামাজ আদায় করতে থাকেন। কিন্তু মসজিদ উন্নয়নের কাজে ব্যয় হওয়া প্রায় ৪০ হাজার টাকা দোকানে বাঁকী থাকায় হালখাতার চিঠি প্রদান করে। বর্তমান মসজিদ কমিটি টাকা দিতে না চাওয়ার কারণে গত শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে তাদেরকে টাকা পরিশোধের জন্য বলা হয়। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থানায় মামলা দায়ের করে। আমরা উন্নয়ন মূলক কাজের বাঁকী টাকা পরিশোধ করার দাবী জানাচ্ছি। তাছাড়া মসজিদ নিয়ে কোন বিরোধ নেই।
(একে/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০২৪)