খুলনা প্রতিনিধি:আজ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।প্রায় ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বইছে খুলনা মহানগরীর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি।

সম্মেলনউদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

সম্মেলন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি। পরিচালনা করবেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি। আর প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি।

দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের সম্মেলনে তালুকদার আব্দুল খালেক সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রায় ১১ বছর পর চলতি বছরের ১৮ জুলাই কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ঈদুল আজহা ও দুর্গা পূজার কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।

সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে মহানগর কমিটি নগরীর ৩৬টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ৫টি থানা কমিটির সম্মেলন শেষ করে। এ সময়ে এসব সাংগঠনিক এলাকায় প্রায় ১৬ হাজার ব্যক্তিকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয়।



এক দশকেরও বেশি সময় পর ক্ষমতাসীন দলের এই নগর সম্মেলনকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এরই মধ্যে দলে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। নগরজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে নেতা-নেত্রীদের ছবিযুক্ত রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর পোস্টার।

সাবেক খুলনা সিটি মেয়র ও বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এমপি সভাপতি পদে অপ্রতিদ্বন্দ্বী থেকে যাচ্ছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ছেন।

এ পদে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান পপলু নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এছাড়া এ পদে সদর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক, কমার্স কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও নগর যুবলীগের আহ্বায়ক, নগর প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলামও প্রার্থী হয়েছেন।

একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দু’জনই সংসদ সদস্য সে কারণে তাদের প্রাধান্য থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর সম্মেলন না হওয়ায় নানা কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। দীর্ঘ এই সময়ের ব্যবধানে বিগত কমিটির কেউ কেউ মারাও গেছেন। অনেকে রাজনীতি থেকে সরে গেছেন। এছাড়া একই কমিটি কয়েক বছর দায়িত্বে থাকায় শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বিভিন্ন কারণে দূরত্ব বেড়েছে। যে কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডও। এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনকে গতিশীল করতে নতুন পুরাতন মিলিয়ে কমিটি দেখতে চান তারা।

দলীয় সূত্র অনুযায়ী, নগরীর ৩৬টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড থেকে ১০ জন করে ৩৬০ জনকে কাউন্সিলর হবে। এছাড়া সম্মেলনে আরো ২৫ জন কাউন্সিলর মনোনীত করা হবে। মোট ৩৮৫ জন কাউন্সিলর নগর কমিটি নির্বাচন করবেন।





(ওএস/এসসি/নভেম্বর২৯,২০১৪)