বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার রেলস্টেশন এরিয়ায় রেলের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বৈধ লিজপ্রাপ্তদের জমি বুঝিয়ে দিতে ও উচ্ছেদে এসে রেলওয়ের কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ ও হামলার শিকার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃপক্ষ। তবে দুপুর আড়াইটার দিকে পৌরসভার শিবপুর রেল গেট এলাকায় দোকান ও বাড়ি ঘর উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন রেলওয়ে কতৃপক্ষকে বাধা দেয়।

এ ঘটনায় রেলওয়ে কতৃপক্ষ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, থানা পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা কর্মী নিজেদের নিরাপদ রাখতে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয় লোকজন রাজবাড়ি ১৫ নং কাচারীর রেলওয়ে কানুনগো জিয়াউল হককে উপজেলা পরিষদের ভেতর থেকে লাঞ্চিত করে। পরে কানুনগো ইউএনওর কনফারেন্স রুমে অবরুদ্ধ থাকে। তবে পাকশী অঞ্চলের রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম সেখান থেকে তড়িঘড়ি করে চলে যান।

হামলার সময় অসহায় হয়ে পড়েন রেলওয়ে পুলিশ। এ নিউজ করার সময় সাড়ে চারটা পর্যন্ত কানুনগো জিয়াউল হক ইউএনওর হেফাজতে থাকে। পরে ইউএনওর সহযোগিতায় কানুনগো ও রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছায়।

এর আগে রেলওয়ে কতৃপক্ষ মাইকিং করে সকলকে সতর্কতা করিয়ে দেন। বোয়ালমারী রেলস্টেশনের আশপাশ থেকে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেন।

এরপরও অবৈধ দখলকারীরা তাদের দখলকৃত দোকান ও ঘরের মালামাল সরিয়ে নেননি।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, রেলওয়ে কতৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযানে আসে। রেলওয়ে কতৃপক্ষদের বলা হয়েছিল যাদের বৈধভাবে লিজ নেয়া, বা আবেদন করা হয়েছে। তাদের যেন উচ্ছেদ না করা হয়। পরে শুনেছি তাদের দোকান বা ঘর উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে রেলওয়ে কতৃপক্ষদের হামলা চালাতে যায়। পরে আমার সহকারী কমিশনার ভূমি রেলওয়ে কতৃপক্ষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে।

রেলওয়ের ১৫ নং কাচারির কানুনগো জিয়াউল হক অবরুদ্ধ থাকায় ও পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

(কেএইচএফ/এএস/অক্টোবর ১৭, ২০২৪)