২৯ নভেম্বর, ১৯৭১
যশোরের সীমান্ত ফাঁড়িতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : টেংরাটিলাতে ছিলো পাকিস্তানের একটা বড় ঘাঁটি। মুক্তিবাহিনী টেংরাটিলা আক্রমণ করার জন্য ৩য় বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন মহসীন এবং ক্যাপ্টন আকবরের নেতৃত্বে টেংরাটিলার উদ্দেশে রওনা হয়।
ডাউকি সাবসেক্টর ট্রুপস এবং ৩য় বেঙ্গল রেজিমেন্ট যৌথভাবে মেজর সাফায়াত জামিলের কম্যান্ডে রাধানগর আক্রমণ করে। দীর্ঘ কয়েকঘন্টা ধরে এখানে তীব্র যুদ্ধ চলে।
সারাদিন যশোরের সীমান্ত ফাঁড়িতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের পর রাতে পাকিস্তানীরা তাদের ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে কমলপুর ফাঁড়ি ত্যাগ করে।
ঢাকায় ইস্টার্ণ কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজী বিদেশী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এ অঘোষিত যুদ্ধে কেবল মুক্তিবাহিনী নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীও শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পাঠানো এক পত্রে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট পূর্বাঞ্জলের সীমান্ত এলাকায় জাতিসংঘ পযবেক্ষক মোতায়েনের আবেদন জানান।
মুক্তিবাহিনী গাইবান্ধা মহকুমার কালির বাজারে পাক অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণে ৬ জন পাকপুলিশ এবং রাজাকারকে গ্রেফতার করে। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী শত্রুপক্ষের ৯টি রাইফেল এবং ৪শত গুলি হস্তগত করে। এখানে মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য শহীদ হন।
কুড়িগ্রামের মোগলপুর অঞ্চলে মুক্তিবাহিনী রাজাকারের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে পাঁচটি রাইফেল ও দুইশত গুলি অধিকার করে।
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল ওসমানী মুজিবনগরে বলেন- আমার ছেলেরা এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মাত্র কয়েক মাসেই তাঁরা পৃথিবীর যে কোন সুশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সাথে পাল্টা দেবার মতো দুর্ধর্ষ হয়ে উঠেছে। আর দেরী নয়, এখনই চরম আঘাত হানতে হবে।
যশোরের মুন্সিগঞ্জের বড়খালীতে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর পাকবাহিনী আক্রমণ করলে মুক্তিবাহিনী তা প্রতিহত করে। মুক্তিবাহিনী এখানে একটি সেতু ধ্বংশ করে দিয়ে পাকবাহিনীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই যুদ্ধে ১২ জন পাকহানাদার নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর ২ জন সদস্য শহীদ হন।
যুদ্ধ পরিস্থিতি রিপোর্ট: ৮ নং সেক্টরের দলিল পত্র থেকে
G-0656
dt- 29/11/71 Own tps laid ambush at Moheskundi on
en ptl 6364 M/S 789/16 on 271400 Nov.
En cas 4 dead. Own cas nil.
তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/অ/নভেম্বর ২৯, ২০১৪)