১৬ অক্টোবর, ১৯৭১
দিনাজপুরে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে পাকবাহিনীর ১৭ জন সৈন্য নিহত হয়
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : সকালে তেহরানে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নির মধ্যে দু’ঘন্টা স্থায়ী আলোচনা হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া নিকোলাই পদগর্নির কাছে পাকিস্তানের অখন্ডতা ও সংহতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার দাবি জানায়।
নির্বাচন কমিশন এক প্রেসনোটে উপ-নির্বাচনের প্রতীকের নাম ঘোষণা করে। ঘোষণায় আরো বলা হয়, গত নির্বাচনে যে দল যে প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলো, এবারেও সেই প্রতীকই বরাদ্দ থাকবে।
আলমের নেতৃত্বে নৌ-কামান্ডোরা চালনা বন্দরে দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে ফ্রগম্যানরা চারটি জাহাজ ধ্বংস করে। জাহাজ চারটির মধ্যে ‘লাইটনিং’ ও ‘আল-মুরতজা’-র নাম উল্লেখযোগ্য। এই অপারেশনে ফ্রগম্যান আনোয়ার অসীম সাহসিকতা প্রদর্শন করেন।
দিনাজপুরে মুক্তিবাহিনী মর্টারের সাহায্যে বোয়ালগঞ্জে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১৭ জন সৈন্য নিহত হয়। রাতে আরেক সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য নিহত হয়।
মুক্তিবাহিনীর জঙ্গী দল লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর তীব্র গোলাবর্ষণ করে। সফল অভিযান শেষে মুক্তিযোদ্ধাদল নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির তস্কররা বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরীর ময়মনসিংহ রোডস্থ তালাবদ্ধ বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পূবর্ পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম ঢাকায় এক জনসভায় বলেন, ভারত পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করে দিয়ে যাবে এমন আত্মঘাতী ভাববিলাস আমাদের বর্জন করতে হবে।
সন্ধ্যায় তেহরানে যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।
জাতিসংঘের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারী পলমার্ক হেনরী সংবাদ সম্মেলনে জানান, গেরিলারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু করতে না পারলেও ত্রাণ সামগ্রী বন্টনে বাধার সৃষ্টি করছে।
নূরুল আমিনের জরুরি তলবে ঢাকায় ফিরে আসা মাহমুদ আলী এপিপি-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানান, ‘পাকিস্তান আন্তরিকভাবেই পাকিস্তানি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী এবং সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু ভারত বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানা করছে।’
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৬, ২০২৪)