মহম্মদপুরে ঝামা মধুমতি নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঝামা মধুমতি নদীতে বাৎসরিক গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর দুর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের পরের দিন উপজেলার ঝামা মধুমতি নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ঝামা ঐতিহ্যবাহী মেলা কমিটি।
গতকাল সোমবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব এস এম রবিউল ইসলাম নয়ন।
মেলা দেখতে মধুমতি নদীর দুই কুলে অপেক্ষা করতে দেখা যায় হাজার হাজার নারী-পুরুষকে।
ঝামা মধুমতি নদী এলাকা হয়ে ওঠে উৎসব মুখোর পরিবেশ। সবার মধ্যে বাৎসরিক নৌকা বাইচ ও মেলার আমেজ বিরাজ করে।
মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মেলা প্রেমী মানুষ মেলা উপভোগ করতে উপস্থিত হন।
মেলা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা গেছে, এবারের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৭টি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিভিন্ন রংয়ের পোশাকে দাঁড়িয়াদের দাঁড় টানতে দেখা যায়। সেই সাথে ঢং ঢং আর হেঁইও হেঁইও শব্দে মধুমতি নদীর দুপাড়ের হাজারো দর্শক উল্লাসে মেতে ওঠেন। মধুমতি নদীতে ট্রলার ও নৌকায় আনন্দ করতে যুবকদের দেখা যায়। বাৎসরিক নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা উপলক্ষে ঝামাসহ আশ পাশের গ্রামগুলোতে এলাকার চাকরি জীবীরা ও আত্মীয় স্বজনেরা কাঙ্খিত দিনের আগে বাড়িতে চলে আসেন।
অনেক পূর্ব থেকে শতবর্ষী এউৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিটি বাড়ির মানুষের মধ্যে এক আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করে। উপলক্ষে ঝামা ফেরী ঘাট এলাকায় বিভিন্ন দোকান পাটের পসরা বসেছে। এখানে বড়মাছ, মাংস, মিষ্টির দোকান, খেলনা, চানাচুর, কসমেটিক্স ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট বসেছে।
এছাড়া বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা। মেলা শুরুর কয়েক দিন আগে থেকে দোকানপাট আসতে শুরু করে। সবশেষে ঝামা ঐতিহ্যবাহী মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যুবদল নেতা মোঃ মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এর সভাপতিত্বে মেলা কমিটির সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
(বিএস/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০২৪)