যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের মুকুট চুরি, রিমান্ড শেষে চার আসামী কারাগারে
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রী শ্রী যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের মা কালীর মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত চার আসামীকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে আসামী রেখা সরকার চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে রবিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দি শেষে চার আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রিমান্ড ফেরত আসামীরা হলেন, শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত ছিদাম সরকারের স্ত্রী ও মন্দিরের সেবায়েত রেখা সরকার (৪৫), একই গ্রামের অখিল চন্দ্র সাহার ছেলে অপুর্ব কুমার সাহা (৪৬), মৃত গোকুল চন্দ্র সাহার ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস ও শ্রীফলকাটি এলাকার হরেণ বিশ্বাসের স্ত্রী পারুল বিশ্বাস।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আহমেদ কবির জানান, শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের মা কালীর মাথার সোনার মুকুট চুরির ঘটনায় সেবায়েত জ্যেতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় এর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার আদালতে প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। বিচারক সুজাতা আমিন শুনানী শেষে তাদের প্রত্যেককে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদেরকে আদালত থেকে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। রবিবার বিকেল ৬টার দিকে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে আনা হয়। এর মধ্যে আসামী রেখা সরকার বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিনের কাছে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকারে করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষ হওয়্রা পর চার আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শনে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সোনার মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন। গত ১০ অক্টোবর বিকেলে মুকুটটি চুরি হয়। মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় মন্দিরের সেবায়েত জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে শ্যামনগর থানায় মামলা(১২নং) করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপর ন্যস্ত করা হয়।
(আরকে/এএস/অক্টোবর ১৩, ২০২৪)