স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল শহরের দুই স্থান থেকে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। এরমধ্যে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় যাত্রাশিল্পী আইয়ুব আলী (৪৭) এবং শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে জেলা সদর লেক থেকে ভাসমান অবস্থায় মো. মিজানুর রহমান (৩৪) নামে অপর এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, রবিবার সকালে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধারকৃত নিহত আইয়ুব আলী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ভবানীপুর পাতুলীপাড়ার মৃত নছিম মিয়ার ছেলে। নিহত ওই ব্যক্তি নারী সেজে যাত্রাপালায় অভিনয় করতেন।

পুলিশ জানায়, রোববার সকালে নতুন বাসস্ট্যান্ডের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের পেছনের পরিত্যক্ত ঘর থেকে গলায় পড়নের কাপড় পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের ছেলে অনিক মিয়া জানান, তার বাবা শনিবার সন্ধ্যায় কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। রোববার সকালে তার বাবার মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন। তার ধারনা দুর্বৃত্তরা রাতের কোন এক সময় তার বাবাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে।

অপরদিকে, শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল শহরের জেলা সদর লেক থেকে মো. মিজানুর রহমান নামে এক যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মিজানুর রহমান(৩৪) টাঙ্গাইল পৌরসভার কাগমারা এলাকার মো. বাহেজ উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল জেলা সৌখিন মৎস শিকারী সমিতির পাশে জেলা সদর লেকে ভাসমান মরদেহ দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশে খবর দেয়। পরে মাছ শিকারের জন্য ব্যবহৃত কাঠের পাটাতনের গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় থাকা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহের সাথে থাকা একটি ব্যাগে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের সঙ্গে যুবকের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহম্মেদ জানান, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (টাঙ্গাইল সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-দক্ষিণ) ওসি মো. মোশারফ হোসেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রোববার উদ্ধারকৃত আইয়ুব আলীর মুখে আঙ্গুলের ছাপ ও গলায় পড়নের কাপড় পেঁচানোর চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করা করে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে। শনিবার সকালে জেলা সদর লেক থেকে উদ্ধারকৃত মিজানুর রহমানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) মিজানুর রহমান হত্যাকান্ডে তার পিতা মোঃ বাহেজ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রজ্জু করেন।

(এসএএম/এএস/অক্টোবর ১৩, ২০২৪)