সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গত কয়েকদিনের অতি বর্ষনের ফলে শীতলক্ষ্যার নদীর পাড় ঘেষে  রানীগঞ্জ-তারাগঞ্জ বেড়িবাঁধের মুচি বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দিন দিন পীচের নীচের মাটির অংশ সরে যাওয়ায় যে কোন সময় রাস্তার  অবশিষ্ট অংশ ধসে গিয়ে মুচি বাড়িসহ ৩০টি সনাতনী পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

চরম ঝুঁকি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকার সনাতনী বাড়ির লোকজনদের মধ্যে। এতে মুচি বাড়ি সহ জনমনে মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ফলে আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজার করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই এলাকায়। ভাঙ্গনের ফলে ওই এলাকায় যোগাযোগ ব্যাবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে মুচি বাড়ি এলাকা নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। মুচি বাড়ি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় খাড়া ও গভীরতা বেশি থাকায় অতি বৃষ্টিতে ভাঙ্গনের প্রবনতা এমনিতেই বেশি। গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে বেড়িবাঁধের মাটি ধসে পড়ে। অনেক আগে থেকেই এ এলাকায় কিছু ভাঙ্গন দেখা দিলেও এতদিন কতৃপক্ষের নজরে আসেনি। রানীগঞ্জ টু তারাগঞ্জের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বিকল্প রাস্তা ব্যাবহার করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। খুব দ্রুত সংস্কার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় পুরো রাস্তাটি ধসে পড়তে পারে। এর ফলে ওই এলাকার সনাতনী সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গা পুজা করা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

খবর পেয়ে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে একালাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অতি দ্রুত বেড়িবাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। কাপাসিয়া উপজেলার প্রকৌশল মাইন উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলজিইডির উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসকেডি/এএস/অক্টোবর ১০, ২০২৪)