ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে এতিমদের ধান
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : গত তিন দিনের টানা ভারী বর্ষনে টাঙ্গাইলের মধুপুরের বড়বাইদ এতিমখানার ৬০ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। এতে দুচিন্তায় রয়েছেন এতিমখানার কর্তৃপক্ষ। এই ৬০ বিঘা জমি থেকে এতিমখানার এতিমদের বড় একটি আয়ের অংশ বলে জানান এতিমখানা কৃর্তপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক দিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বড়বাইদ এতিমখানার ৬০ বিঘা জমিতে অপরিপক্ক বোরো ধান তলিয়ে গেছে। কোথাও ধানের গলা পানি আবার কোথাও ধানের শীষ বের হয়ে উকি দিচ্ছে। কয়েকদিন আগেও বাতাসে দোল খাচ্ছিল এসব কাচা ধানের শীষ। হঠাৎ ভারি বৃষ্টিপাতে এতিমখানার স্বপ্নে লালিত সেই ধান এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।
বড়বাইদ জামিয়া ইসলামিয়া সৈয়দ আহমদিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার মুফতি আল আমীন বলেন, ধানের জমি কিছুটা নিচু হওয়ায় ৬০ বিঘা ধানের বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমাদের। তিনি আরো জানান, ভারী বৃষ্টিপাতে জমির সব ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়ব আমরা ।
বড়বাইদ জামিয়া ইসলামিয়া সৈয়দ আহমদিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার সহ পরিচালক মুফতি ইব্রাহিম ত্বকী বলেন, ‘এবার যেভাবে ধানের ফলন দেখা যাচ্ছিল, তাতে আমাদের মন আনন্দে ভরে গিয়েছিল। তবে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে এবং পানি হয়েছে তাতে ধান ঘরে তুলতে পারবো না, এই বড়বাইদ এতিমখানায় প্রাায় ৩৫০ জনের খানা এই ধানের উপর নির্ভর।
বড়বাইদ জামিয়া ইসলামিয়া সৈয়দ আহমদিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো.ইমান আলী বলেন, ‘আমরা ৬০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ধান চাষ করেছিলাম। তবে টানা বৃষ্টির কারণে আমাদের বড়বাইদ এতিমখানার ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আর ২ থেকে ৩ মাস যদি পানি জমে থাকে তাহলে সব ধান পচে নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও অপরিপক্ক ধান ডেেব যাওয়ায় চিন্তিত এতিমখানার কতৃপক্ষ। কেননা এতিমের একমাত্র ভরসা এই ৬০ বিঘার ফসল। টানা বৃষ্টিপাতে যেন থামিয়ে দিতে পারে এতিমখানার এতিমদের জীবিকা
মধুপুর উপজেলা কুষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্নী বলেন,মধুপর একটি পাহাড়ি অঞ্চল। এই অঞ্চলে কিছুটা বিল রয়েছে। সেই বিলের তীরবর্তী জায়গা এতিমখানার কৃষি জমি।নিমজ্জিত জমির পানি শুকাতে প্রায় তিন মাস লেগে যাবে আর এসময় ধানের গোড়া পঁচে ধান নষ্ট হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন,মধুপুরে এতিমখানাটার সুনাম রয়েছে। সেখানে অনেক ছাত্র রয়েছে। এই এতিমখানার জন্য সমাজসেবা কিছুটা আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে। তবে জনপ্রতি যে অনুদান বরাদ্দ থাকে সেটা বাড়িয়ে এবার বেশি দেওয়ার চেষ্টা করবো।
(এসএএম/এএস/অক্টোবর ০৯, ২০২৪)