প্রথমবারের মতো টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাংকিংয়ে জবি
স্টাফ রিপোর্টার : টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাংকিংয়ে প্রথম বারের মতো স্থান পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এডুকেশন র্যাংকিংয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৫০১ প্লাস।
বুধবার (৯ অক্টোবর) টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, টাইমস হায়ার এডুকেশন নিজস্ব পদ্ধতিতে সংগৃহীত তথ্য বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাংকিং নির্ধারণ করে থাকে। মূলত পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এ র্যাংকিং নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রি থেকে আয় ও নতুন জ্ঞান উৎপাদন; আন্তর্জাতিকতা অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকের অনুপাত; শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ, মান ও পরিবেশ; গবেষণার সুনাম, আয় ও গবেষণা প্রবন্ধের গুণগত মান, ইমপেক্ট ফেক্টর জার্নালে প্রকাশের হার এবং গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন ও প্রভাব সমূহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র্যাংকিংয়ের জন্য বিচার-বিশ্লেষণ করে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, এই র্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকভাবে নবতর পরিচিতি লাভ করলো যা বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যাওয়া আমাদের শিক্ষার্থীদের আলাদা মর্যাদা দেবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রেও র্যাংকিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে তৎকালীন উপাচার্যের নেতৃত্বে গত ১৮ জানুয়ারিতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়। কমিটিতে সাবেক উপাচার্যের নেতৃত্বে ছিলেন কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড.মুহাম্মদ জুলফিকার মাহমুদ,আইন বিভাগের শিক্ষক মুনিরা জাহান সুমী, সহযোগী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক আরিফুল আবেদ।
টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাংকিং অন্তর্ভুক্ত কমিটির সদস্য শাহ মো.আরিফুল আবেদ বলেন, বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ র্যাংকিং হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমরা প্রায় দুই বছর আগে থেকে বিশ্বমানের মর্যাদাপূর্ণ র্যাংকিংয়ে আসার প্রয়াস চালিয়ে আসছিলাম। ২০২৫ সালের জন্য প্রকাশিত টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাংকিংকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মত তালিকাভুক্ত হয়েছে; এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গৌরবের ও সম্মানের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাশরিক হাসান বলেন, আমরা বর্তমান এবং পূর্ববর্তী কমিটির সকল সদস্যকে আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমবারের মতো টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিং-এ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমরা এই মাইলফলকটিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমাদের সম্মানিত শিক্ষক এবং প্রিয় ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। এই র্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমাদের একাডেমিক উৎকর্ষতা সাধনের পরিবেশ ও সুযোগ হবে; যেখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের যৌথ প্রয়াসে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতি বছর আরও সামনে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে।"
(ওএস/এএস/অক্টোবর ০৯, ২০২৪)