নড়াইল প্রতিনিধি : আমি দলীয় প্রতিক নিয়ে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় নাই। জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছি। একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে স্বচ্ছতার সাথে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে আসছি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমার কতিপয় মেম্বরসহ একটি স্বার্থন্বেষী মহল আমার গড়ে ওঠা সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রয়াসে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত অভিযোগ তুলে ইউনিয়নবাসী তথা প্রশাসনের কাছে হেয় করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মহলটি আমার নামে উপজেলা প্রশাসনের নিকট একটি কাল্পনিক তিন অভিযোগপত্র  করেছে, যা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। 

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লোহাগড়ার একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আমাকে কোন রাজনৈতিক দল থেকে কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয় নাই। অসুস্থতার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যেতে না পারলেও বাড়িতে বসে জনগণের সেবা করে আসছি। আমি একজন জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি। বর্তমানে আমাকে হত্যার জন্য আমারই পরিষদের কতিপয় সদস্যসহ একটি কুচক্রী মহল নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা পরস্পর যোগসাজগে সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে গোপনে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এ ধরনের কল্পনাপ্রসূত আনছে।

এই কুচক্রী মহলটি নানা অপপ্রচারে লিপ্ত থেকে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন মহলে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে, আমি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর সাথে জড়িতদের তদন্ত-পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাই।

আমি জনগণের জন্য কাজ করতে চাই,আমি দিঘলিয়া ইউনিয়নবাসীকে সেবা করতে চাই। এ জন্য সকল মহলের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি।

(আরএম/এসপি/অক্টোবর ০৭, ২০২৪)