বন্ধুকে সাহায্য করে হামলার শিকার পরিবারসহ প্রতিবেশীরা
একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর এলাকায় একাধিক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলা কারীরা ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
আহতরা হলেন- বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর এলাকায় মো: মুক্তার হোসেনের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৬০), মেঝ ছেলে আলমগীর মন্ডল (২৪), পুত্রবধূ রুপালী বেগম (২১), ছোট ছেলে জাহিদ মন্ডল (২২) ও ভাস্তে (শ্যালকের ছেলে) ফাহিম (১৭)।আহত ফাহিম ঢাকা মেডিকেল ও অন্যরা ফরিদপুর মেডিকেল হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় গত বুধবার (২ অক্টোবর) মো: মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে কালুখালী থানার মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চর-চিলকা এলাকার মো: মতিন (২৭), মো: মিন্টু (২৮), মো: সৈনিক (২৮), মো: রনি (২২), মো: নজরুল (৩০), মো: সোহেল (২৮), মো: নুরু (৬০), মো: ইমরান (১৯), মো: ইমন (২০), মো: হারুন (৩০), পাংশা পৌরসভার সত্যজিতপুর এলাকার মো: করিম (২০), মো: রনি (২০), কুরাপাড়া এলাকার মো: মুসা (২০)।এছাড়াও উক্ত হামলার সাথে ১৪/১৫ জন অজ্ঞাত আসামী যুক্ত ছিলো বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার গভীর রাতে প্রধান আসামী মো: মতিনের ছোট বোন আরজিনা প্রেমের টানে পাশের গ্রামের সলিম ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলামের সাথে পালিয়ে যায়। রাতেই তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় জাহিদ মন্ডলের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায় আরজিনার ভাই মতিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।
প্রেমিক খাইরুল ইসলাম (২২) টাইলস মিস্ত্রি, প্রেমিকা আরজিনা পাংশা জর্স পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী। অন্যান্য বন্ধু জাহিদ মন্ডল ও টাইলস মিস্ত্রি।
মামলার বাদী মুক্তার হোসেন (জাহিদের পিতা) বলেন, আমাদের পাশের গ্রামের মৃত মফেলের ছেলে মতিন ও ভাস্তে সৈনিকের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা করে। তারা আমার বাড়িসহ পাশের কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে। তাদের কাছে থাকা দেশীয় তৈরি রামদা, ছেন-দা,চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে আমার স্ত্রী, দুই ছেলে, এক পুত্রবধূ, নাতনী ও শ্যালকের ছেলে কে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে। এসময় হামলা কারীরা আমার নাতনীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে। আমার ছেলের অপরাধ ওর বন্ধু খাইরুল মতিনের বোন কে নিয়ে গেছে। অথচ খাইরুলের বাড়িতে কিছুই হলো না!আমরা দুর্বল হওয়ার আমাদের উপর হামলা করলো।
প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলাম বলেন, মতিন মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে অস্ত্রসহ একদল সন্ত্রাসী নিয়ে এসে জাহিদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় জাহিদসহ তার মা, ভাই, ভাবি, ভাগ্নে ভাগ্নীকে মারপিট করে। আমাদের বাড়িতে ও হামলা চালায়। অথচ যে ওর বোন কে নিয়ে গেছে তাদের কাছে যেতে পারে না।আমরা এখনো আতংকে আছি।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(একে/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০২৪)