নিউজ ডেস্ক : সকাল থেকে বৃষ্টি। এমন আবহাওয়ায় খিচুড়ি, তেলেভাজা খাওয়ার ইচ্ছে।
ঘুম থেকে উঠতেও ভালো লাগে না মোটেও। কিন্তু উপায় না থাকলে যা হয়। শরীরটাকে টেনে নিয়ে যেতে হয় জিমে। সকাল থেকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শরীরচর্চা করেও যে খুব একটা লাভ হচ্ছে তা-ও নয়। প্রায় রোজই শরীরচর্চা করে এসে ওজন করার মেশিনে উঠছেন। সামান্য একটু ওজন কমতে দেখলেই মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়ালেই মনখারাপ হয়ে যাচ্ছে। কারণ পেটের মেদ ঝরার কোনো হেরফের হচ্ছে না। পুষ্টিবিদরা বলছেন শুধু শরীরচর্চা নয়, মেদ ঝরাতে সমান গুরুত্বপূর্ণ হলো ডায়েট। কখন খাচ্ছেন এবং কী খাচ্ছেন তার ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে।

হতে চাইলে রোগা, কেমন হতে হবে খাবারের তালিকা-

প্রোটিন যোগ করা
প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন থাকা জরুরি। প্রোটিনজাতীয় খাবার বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেটও ভর্তি রাখে অনেকক্ষণ। তাই বারে বারে খিদে পাওয়া বা উল্টো পাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সস
তিনবেলার খাবার বাড়িতে তৈরি হয়। কিন্তু কাজের মাঝে অল্প খিদের জন্য অনেকেই বাইরের মুখরোচক খাবারের ওপর ভরসা রাখেন। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাড়ির তৈরি খাবার খেলে বিপাকহার উন্নত হয়। যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তাই কাজের মাঝে, বিকেলে স্ন্যাক্স হিসেবে মুখরোচক কেনা খাবার না খেয়ে বাড়ির তৈরি খাবারের ওপর ভরসা করাই ভালো।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীরচর্চা, ডায়েট, হাঁটাহাঁটি— যা-ই করুন না কেন, পানি কম পান করলে কিন্তু মেদ কোনোভাবেই ঝরবে না। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ— সবাই তাই পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার ওপর জোর দিয়ে থাকেন।

চিনির ব্যবহার কমানো
খাবারে অতিরিক্ত চিনি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। মন খারাপ হলেই ঘন ঘন চকোলেট, আইসক্রিম খাওয়ার ইচ্ছাতেও লাগাম টানতে হবে। অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমনই পেট, কোমর, নিতম্বে মেদ জমার পরিমাণও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

তরল খাবারে ক্যালোরি কমানো
শক্ত খাবার খাবেন না বলে ফলের রস, বিভিন্ন রকম শেক্স বা স্মুদির ওপর ভরসা রাখছেন? বাড়িতে বানানো তরল খাবার হলে ভালো। কিন্তু বাজার থেকে কেনা প্যাকেটজাত তরলে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০২৪)